রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতায় মামলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়নসহ ৭ জনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- মোকলেছ মিয়া, মোশারফ হোসেন খোকন, জজ মিয়া, ফরিদ উদ্দিন রানা ও আব্দুল্লাহ।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই বিজন কুমার বিশ্বাস আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী বোরহান উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা খান, খোরশেদ মিয়া আলম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তারা বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ। সমাবেশে ভীত হয়ে সরকার ঢালাওভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। আর পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। সমাবেশকে সামনে রেখে তথ্যবিহীন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করছি।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ২৬ মে রাজধানীর পল্টন থানাধীন এলাকায় আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধে মশাল মিছিল বের করে দাঙ্গা হাঙ্গামা করে। সরকারবিরোধী বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য ও গাড়ি ভাঙচুরসহ পুলিশকে আক্রমণ করে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় পল্টন থানার এসআই মো. কামরুল হাসান মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটিতে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৩০ জনকে এজাহার নামে আসামি করা হয়। এ ছাড়াও মামলায় একশ থেকে দেড়শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষে ফেরার পথে ৩ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে রাজধানীর আমিনবাজার থেকে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও নুরুল ইসলাম নয়নকে আটক করা হয়।