আইন ও অপরাধ

রাষ্ট্রপক্ষের আশা, মার্চেই জি কে শামীমসহ ৮ জনের মামলার রায়

যুবলীগের কথিত নেতা এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানার মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল হাসান যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। তবে এদিন তা শেষ হয়নি। আদালত আগামি ২৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল হাসান বলেন, মামলাটিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে। তবে তা শেষ হয়নি। ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি শেষ করতে বলেছেন। এরপর আসামিপক্ষ যুক্তি তুলে ধরবেন। আশা করছি, মার্চ মাসে এ মামলার রায় হবে।

রাষ্ট্রপক্ষ কি আশা করছে জানতে চাইলে মাহবুবুল হাসান বলেন, এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা ১২ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।

মামলার অপর আসামি হলেন, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।

১৭ জানুয়ারি আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে চার্জশিটভূক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে শামীমকে আটক করা হয়। এ সময় জিকে শামীমের কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি টাকা জব্দ করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অস্ত্রও পাওয়া যায়।

এ ঘটনার পর র‌্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।