আইন ও অপরাধ

‘রেনুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল’

‘রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার তাসলিমা বেগম রেনুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। চোয়ালের দুই পাশ থেঁতলানো ছিল। নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল।’

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদের আদালতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যা মামলার সাক্ষ্যে উল্লিখিত বর্ণনা দেন পুলিশ কনস্টেবল এলি আক্তার।

রেনু হত্যা মামলায় আজ এলি আক্তারসহ পাঁচজন সাক্ষ্য দেন। অপর সাক্ষীরা হলেন—পুলিশ কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম ও মসিউর রহমান, মামুন এবং ইমাদুল ইসলাম। তাদের সাক্ষ্য শেষে আদালত আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এলি আক্তার বলেন, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই বাড্ডা থানায় কর্মরত থাকাকালে শুনতে পাই, বাড্ডা উত্তর-পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে ছেলেধরা সন্দেহে এক মহিলাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। এসআই গোলাম মোস্তফার সঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাই। মৃত ব্যক্তির দেহের সুরতহাল করি শালীনতা বজায় রেখে।

এ নিয়ে মামলাটিতে ১২ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কাশেম।

মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণকালে ১৩ আসামি আদালতে হাজির ছিলেন বলে জানিয়েছেন মামলা বাদী নাসির উদ্দিন টিটু।

গত ১ এপ্রিল ১৩ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন একই আদালত। আসামিরা হলেন—ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন।

জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানদের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আব্দুল হক ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুজনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন।