আইন ও অপরাধ

কানাডাপ্রবাসী গৃহবধূ খুন: শ্বশুর-দেবরসহ তিনজন রিমান্ডে

রাজধানীর দক্ষিণখানে স্বামীর বাড়ির আঙিনা থেকে কানাডাপ্রবাসী আফরোজা বেগমের (৩৬) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় শ্বশুর- দেবরসহ তিনজনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে, আফরোজার খালা শাশুড়ি পান্না চৌধুরীর রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মেদের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া তিন আসামি হলেন—আফরোজার শ্বশুর সামসুদ্দিন আহমেদ, দেবর সজিব আলম ও তার স্ত্রী তাহমিনা বাশার।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজিয়া খাতুন আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিনজনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং আরেকজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে দক্ষিণখান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর ফরিদ মিয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।

আফরোজাকে খুনের ঘটনায় তার ভাই আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় হত্যা মামলা করেন। আফরোজা বেগমের স্বামী কানাডাপ্রবাসী আশরাফুল আলমকে প্রধান করে ছয়জনকে এজাহাভুক্ত আসামি করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে গত শুক্রবার আফরোজাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার পরদিন আশরাফুল কানাডায় পালিয়ে যান।

পুলিশ জানায়, আশরাফুল তার স্ত্রী আফরোজাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে আফরোজার পরনের শাড়ি দিয়ে তাকে পেঁচিয়ে বাসার পেছনে মাটিচাপা দেন। 

হত্যার কারণ সম্পর্কে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, বিয়েতে ১ কোটি টাকা কাবিন লেখাতে বাধ্য করায় আশরাফুল তার স্ত্রী আফরোজার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আশরাফুল বটি দিয়ে আফরোজার মাথায় কোপ দেন। এতে তার মৃত্যু হয়। অন্যরা সরাসরি খুনে জড়িত না থাকলেও মরদেহ গুমে সহায়তা করেন। আশরাফুল-আফরোজা দম্পতি কানাডা থাকতেন।