মামলার ধার্য তারিখ রোববার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু, যুবদল দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিন ও যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীরকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের সাথে দেখা করতে হাজির হন নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই তারা আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে কঠোর বার্তা দেয় পুলিশ। এমন বার্তা পেয়ে আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়েন যুবদল নেতাকর্মীরা।
রোববার (৪ জুন) দুপুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, নেতাদের দেখতে সকাল থেকে যুবদলের নেতাকর্মীরা ঢাকার সিএমএম আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতে জড়ো হতে থাকেন। তারা আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করতে থাকেন। সিএমএম আদালতের সামনে নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে। পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে মহানগর দায়রা জজ আদালতেও একই চিত্র দেখা যায়। দুপুর দেড়টার দিকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ যুবদলের নেতাকর্মীদের একত্রে জড়ো করেন। ওসি (অপারেশন) মো. নাজমুল নেতাকর্মীদের পাঁচ মিনিটের মধ্যে আদালতপ্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে যেতে বলেন। অন্যথায় লাঠিচার্জে করা হবে বলে হুমকি দেন।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন কয়েকদিন ধরে দুপক্ষ আইনজীবীদের মধ্যে ঝামেলা চলছে। এরপর আপনারা এসে আবার ঝামেলা করছেন। সিএমএম আদালতের সামনে ঝামেলা করে এসেছেন। আপনারা ৫ মিনিটের মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে যাবেন। না হলে লাঠিচার্জ করা হবে।
পরে পুলিশ সদস্যরা আদালতপ্রাঙ্গণ ঘুরে ঘুরে নেতাকর্মীদের বের করে দেন। এসময় পুলিশ সদস্যরা লাঠিচার্জও করে। অনেকে আদালতপ্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যান। অনেকে আবার আনাচেকানাচে অবস্থান নেন। এসময় অনেকে বলতে থাকেন, আগেও তো আদালতে এসেছি। এমন পরিস্থিতি দেখিনি। আজ কী হলো। আমাদের দাঁড়াতে দিচ্ছে না।
এদিকে, দুপুর আড়াইটার দিকে মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু ও যুবদল দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিনকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানা থেকে বের করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। মুহূর্তেই নেতাকর্মীরা তাদের ঘিরে ধরেন। অনেকে ইশারায় কথাবার্তা বলেন। পরে তাদের প্রিজন ভ্যানে তুলে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।