আইন ও অপরাধ

কানাডাপ্রবাসী গৃহবধূ খুন: শ্বশুর-দেবরসহ তিনজন কারাগারে

রাজধানীর দক্ষিণখানে স্বামীর বাড়ির আঙিনা থেকে কানাডাপ্রবাসী গৃহবধূ আফরোজা বেগমের (৩৬) মরদেহ উদ্ধারের মামলায় শ্বশুর-দেবরসহ তিনজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া তিন আসামি হলেন—আফরোজার শ্বশুর সামসুদ্দিন আহমেদ, দেবর সজিব আলম ও তার স্ত্রী তাহমিনা বাশার।

এর আগে এক দিনের রিমান্ড শেষে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজিয়া খাতুন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২ জুন এ তিন আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তবে, ওই দিন আফরোজার খালা শাশুড়ি পান্না চৌধুরীর রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আফরোজাকে খুনের ঘটনায় তার ভাই আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় হত্যা মামলা করেন। আফরোজা বেগমের স্বামী কানাডাপ্রবাসী আশরাফুল আলমকে প্রধান করে ছয়জনকে এজাহাভুক্ত আসামি করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে গত শুক্রবার আফরোজাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার পরদিন আশরাফুল কানাডায় পালিয়ে যান।

পুলিশ জানায়, আশরাফুল তার স্ত্রী আফরোজাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে আফরোজার পরনের শাড়ি দিয়ে তাকে পেঁচিয়ে বাসার পেছনে মাটিচাপা দেন। 

হত্যার কারণ সম্পর্কে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, বিয়েতে ১ কোটি টাকা কাবিন লেখাতে বাধ্য করায় আশরাফুল তার স্ত্রী আফরোজার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আশরাফুল বটি দিয়ে আফরোজার মাথায় কোপ দেন। এতে তার মৃত্যু হয়। অন্যরা সরাসরি খুনে জড়িত না থাকলেও মরদেহ গুমে সহায়তা করেন। আশরাফুল-আফরোজা দম্পতি কানাডা থাকতেন।