জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ১৬ আগস্ট উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে জন্মাষ্টমী উদযাপিত হবে।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষে ওই দিন রাজধানীতে আয়োজিত হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা ও অন্যান্য আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ডিএমপি সদর দপ্তরে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, “শোভাযাত্রা ও অন্যান্য আয়োজন যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সেজন্য প্রতি বছরের মতো এবারও ডিএমপির পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী, সিটি করপোরেশন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানগুলোয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়া হবে।”
সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা উপলক্ষে নেওয়া সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এরপর সভায় উপস্থিত বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতা, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ, ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
সভায় প্রতিটি মন্দিরে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ও স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে আর্চওয়ে স্থাপন, শোভাযাত্রা নির্দিষ্ট সময়ে আরম্ভ ও শেষ করা, নির্ধারিত পোশাকে বা দৃশ্যমান আইডি কার্ডে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মাসুদ করিম; অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলীসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ, ইসকন বাংলাদেশের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।