আইন ও অপরাধ

নোমান গ্রুপের চেয়ারম‌্যান নুরুলের অবৈধ সম্পদ ১৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা

১৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, ভোগ দখলে রাখার অপরা‌ধে নোমান গ্রু‌পের চেয়ারম‌্যান নুরুল ইসলামের (৭৫) বিরু‌দ্ধে মামলা ক‌রে‌ছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুদ‌কের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হ‌য়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলা‌টি ক‌রেন। বিকে‌লে দুদ‌কের প্রধান কার্যাল‌য়ে ক‌মিশ‌নের মহাপ‌রিচালক আক্তার হো‌সেন এ তথ‌্য জানান।

তি‌নি বলেন, “আসামি নুরুল ইসলাম ১৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক নিজ ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।”

মামলার এজাহা‌রে বলা হয়, দুদ‌কের অনুসন্ধা‌নে আসামি নুরুল ইসলামের নিজ নামে ঢাকা জেলার গুলশান আবাসিক এলাকায় (সার্কেল-২, গুলশান রোড নম্বর-৪৪, ব্লক- সি.ডব্লিউ.এন (বি), বাড়ি-১৯) এর অর্ধেক অংশ, পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্পে ৭টি প্লটসহ অর্জিত স্থাবর সম্পদের মূল্য ২৩ কোটি ৪০ লাখ ৮৮ হাজার ৪৯৯ টাকা পাওয়া যায়।

এছাড়া ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসির শেয়ার মূল্য ৮,৩০,৫১,৪৫০ টাকা এবং নোমান গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার মূল্য ২৪,৯৫,০৪,৫০০ টাকাসহ অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৩৮,৮১,০৫,৯৬৯ টাকা পাওয়া যায়। অর্থাৎ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৬২,২১,৯৪,৪৬৮ টাকা পাওয়া যায়।

২০২৪-২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্নের প্রদর্শন অনুযায়ী অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নুরুল ইসলামের দায়দেনা ৩,৪০,০০০টাকা। ফলে দায়দেনা ছাড়া তার নিট সম্পদের মূল্য ৬২,১৮,৫৪,৪৬ টাকা পাওয়া যায়।

এজাহা‌রে আরো বলা হয়, আসামি নুরুল ইসলাম ২০১৬-১৭ করবর্ষে প্রদর্শিত নিট সম্পদ ৪৫,০১,৭৭,৩৮৩ টাকাকে ২০১৬-১৭ করবর্ষ পর্যন্ত মোট আয় বিবেচনা করে ২০১৬-১৭ করবর্ষ থেকে ২০২৪-২৫ করবর্ষ পর্যন্ত তার মোট গ্রহণযোগ্য আয় ৬৭,৬৯,১৮,৩৭৪ টাকা এবং পরিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় ২৪,৪৯,৩৮,৯০৬ টাকা এবং সঞ্চয়/বৈধ উৎসের পরিমাণ ৪৩,২০,৭৯,৪৬৮ টাকা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আসামি নুরুল ইসলামের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মূল্য ১৮,৯৭,৭৫,০০০ টাকা পাওয়া যায়।

আসামি নুরুল ইসলাম ১৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক নিজ ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। উক্ত অবৈধ সম্পদ অর্জনের সাথে অন্যদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তদন্তকালে দেখা যেতে পারে ব‌লেও এজাহা‌রে বলা হ‌য়ে‌ছে।