শরীফ ওসমান হাদি হত্যার মোটিভ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের অবস্থান এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ (ডিসি) কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “যেসব আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কয়েক জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। এ ঘটনার পেছনে নানা সন্দেহ থাকলেও হত্যার প্রকৃত কারণ বের করে আনা হবে। হত্যাকারী যেখানেই থাকুক না কেন তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।”
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, হাদি হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডসহ পুরো নেটওয়ার্ক এবং অর্থ কারা, কীভাবে দিয়ে সহযোগিতা করেছে সে তথ্য নিশ্চিত হতেই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে ওসমান হাদির দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্যের ডিজিটাল কনটেন্ট পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
এদিকে, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে কালভার্ট রোডে (যেখানে হাদিকে গুলি করা হয়) গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে হত্যার প্রতিবাদ করেছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি কালভার্ট রোডে রিকশায় ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে খুব কাছ থেকে তার মাথায় গুলি করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং সবশেষ তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।