ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চালকের সহযোগী ও আদাবর থানা যুবলীগ কর্মী হিমন রহমান শিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়াউর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘তার (হিমন রহমান) বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।’’
এর আগে বুধবার সকালে আদাবর থানা পুলিশ হিমনকে গ্রেপ্তার করে। তাকে হাদি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত মোটরসাইকেল চালক আলমগীরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। হিমন আদাবর থানা যুবলীগের কর্মী।
হাদি হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ বর্তমানে পলাতক। আদালত ইতোমধ্যে ফয়সাল এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া এই মামলায় এখন পর্যন্ত ফয়সালের বাবা-মা, স্ত্রী এবং সহযোগী কবিরসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শরীফ ওসমান হাদি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ওই রাতেই সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ওসমান হাদি হত্যা মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার ঘোষণা দিয়েছে।