আইন ও অপরাধ

হাদি হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, মূল আসামি ভারতে পালিয়েছে: ডিএমপি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরীফ ওসমান হাদি হত্যা পূর্বপরিকল্পিত এবং এ  মামলার মূল আসামি ফয়সাল দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো.  নজরুল ইসলাম বলেন, “হাদি হত্যা মামলার মূল আসামি ফয়সাল দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।”

তিনি জানান, ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আসামিরা ভারতে পলায়ন করে করে। 

ঘটনাটি তাদের পূর্বপরিকল্পিত জানিয়ে তিনি বলেন, “এ জন্য আসামিদের চিহিৃত করার আগেই তারা সীমান্ত পাড়ি দিতে সক্ষম হয়। হালুয়াঘাটের আগেই মুন ফিলিং স্টেশন তেকে জৈনক ফিলিপ ও সঞ্জয় তাদের গ্রহণ করার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। ফিলিপ তাকে সীমান্ত পার করে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে জৈনক পুত্তিরর কাছে হস্তান্তর করে। সে আবার এক টেক্সিচালক সামির কাছে তাদের হস্তান্তর করে। সামি মেঘালয় রাজ্যের তুরা নামক একটি শহরে তাদের পৌঁছে দেয়। আমরা জানতে পেরেছি, মেঘালয় পুলিশ পুত্তি ও সামিকে গ্রেপ্তার করেছে।” 

জুলাই অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় হামলার শিকার হন হাদি। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়।

গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার পর রাতেই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

১৫ ডিসেম্বর দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ ডিসেম্বর মারা যান হাদি।