লাইফস্টাইল

ব্রেকআপের পর যে কাজগুলো করবেন না (শেষ পর্ব)

ঐশ্বর্য মীম : ব্রেকআপের পরের সময়টায় আপনার রাগ বেড়ে যাবে কিংবা খুব একাকী লাগবে তবে আপনার উচিত ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করা। ব্রেকআপের পর ১৫টি কাজ করা আপনার একেবারেই অনুচিত। এ নিয়ে দুই পর্বের প্রতিবেদনের আজ থাকছে শেষ পর্ব। * ঘরে বসে থাকবেন না এটা বেশ স্বাভাবিক যে, আপনি নিজেকে করুণা করে বসে আছেন। একটু পরপর ফোন হাতে নিচ্ছেন সেই আশায় যে, সে আপনাকে মেসেজ করবে এবং নতুন ভাবে সব শুরু করতে চাইবে। তবে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন, ব্যস্ততাই এরকম পরিস্থিতি সামাল দিতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। প্রতিদিন ২-৫টি ভালো কাজ করুন, সেটা আপনাকে মানসিক শান্তি দিবে আর সময় কাটিয়ে নিয়ে যাবে। মনোবিজ্ঞানী বান এলবো এর মতে, ‘ব্যস্ততা হোক সেটা খানিক অস্বস্তিকর খুব দ্রুত আপনাকে অনেক কিছু বুঝতে শিখাবে। সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিবে আপনি কী ভালোবাসেন আর কিসে দক্ষ, যেটা সম্পর্কের সময়টায় আপনি ভাবতেই পারবেন না। * নিজস্বতা হারিয়ে ফেলবেন না নিজের জন্য সময় বরাদ্দ রাখুন এবং নিজের আগ্রহগুলোর যত্ন নিন। আরগলি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলিং এর সহকারী অধ্যাপক ড. কেলিয়া প্রিসলি বলেন, ‘এ ধরনের মানসিক সমস্যা কটিয়ে ওঠার পর নিজের সত্ত্বাটাই উপভোগ করুন এবং একা থাকার জন্য প্রস্তুত হোন। নিজেকে যোগ্য করতে এ সময় বিভিন্ন ক্লাসে যোগ দিতে যেতে পারেন। এটাই নতুন ভাষা শিক্ষার, সাঁতার শিক্ষা অথবা রান্নায় ব্যস্ত থাকার উপযুক্ত সময় হতে পারে। এখানেই হয়তো আপনি নতুন কোনো বন্ধু পাবেন। কিংবা ভালোবাসতে শিখবেন আপনার দৈনন্দিন কাজগুলোকে। * প্রতিশোধ পরায়ণ হবেন না আপনি যদি সেই মানুষটি হন যাকে সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বাধ্য করা হয়েছে, আঘাত করার চেষ্টা করেছে কেউ, এমন কি আপনার প্রাক্তন আপনার মনো কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার মানে এই নয় যে আপনি প্রতিশোধের আগুনে জ্বলবেন। সম্পর্কের ইতি ঘটার পরপরই কিছু সীমারেখা আপনি কখনই অতিক্রম করবেন না: তার নামে গুজব ছড়াবেন না, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে কটুক্তি করবেন না। * অন্য প্রাক্তনদের থেকে দূরে থাকুন এটি আসলেই বিব্রতকর যখন সর্ম্পক শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি আপনার অন্য প্রাক্তনদের স্মরণ করবেন। আপনার অতীতে ফিরে যেতে চাচ্ছেন? কখনই না! তাদেরকে প্রাক্তন বলা হয় কারণ আপনারা কখনই একে অন্যের জন্য ছিলেন না। * সামাজিক মাধ্যমে প্রাক্তনকে লুকিয়ে অনুসরণ করবেন না সকল সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে আপনি তাকে এড়িয়ে চলুন, তার বন্ধু ও পরিবারবর্গকেও। বন্ধু তালিকা থেকে ছাটাই করুন তাকে অথবা অনলাইনে তাদের থেকে দূরে সরে যান, যা তার প্রতি আপনার দুর্বলতা কমাতে সাহয্য করবে। অন্যথায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার উজ্জ্বল জীবন দেখে আপনার মন পুড়বে। * স্মৃতিগুলোকে আকড়ে ধরে রাখবেন না আপনার সুসময়ের সেই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মুছে ফেলুন। লুকিয়ে রাখুন হাতে আঁকা সব ছবি। তার দেয়া সকল উপহার অন্যদের বিলিয়ে দিন। কিন্তু এখানেই শেষ না। নিজের পুরো জীবনটা সাজিয়ে নেবার চেষ্টা করুন। তার সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো জায়গাগুলোতেও এড়িয়ে চলুন। একটা নতুন শুরুর এটাই সময় আর এটাই আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বদলে দিবে। অন্তত এটা আপনাকে স্বাতন্ত্র হতে সময় দিবে এবং একাকী থাকার জন্য তৈরি করে তুলবে। * শিক্ষা নিতে ভুলবেন না ড. ম্যান বলেন, আমি বিশ্বাস করি যেকোনো সম্পর্কই সময় নষ্ট করে না। যদি তা থেকে আমরা কিছু শিখতে পারি। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, সম্পর্কে ইতি টানার ক্ষেত্রে আপনি কতটুকু দায়ী ছিলেন অথবা ভবিষ্যতে কীভাবে নিজেকে উপযুক্ত সঙ্গী হিসেবে তৈরি করতে পারেন। যদি আপনি সৎ হন তবে সেখান থেকে ইতিবাচক দিকগুলো বের করে আনুন। সুখী কাপল হওয়ার রহস্য অবিষ্কার করুন। তথ্যসূত্র : বিজনেস ইনসাইডার পড়ুন :  রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ডিসেম্বর ২০১৭/ফিরোজ