লাইফস্টাইল

অফিসে যেসব অভ্যাস অপেশাদারিত্ব প্রকাশ করে

আপনি নিজেকে খুব ভালো কর্মী ভেবে থাকলেও আসলে তা নন, যদি নিচে উল্লেখিত কিছু অভ্যাস আপনার থাকে।

ইমোজি ব্যবহার

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমোজির ব্যবহার জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কয়েকটি বাক্য লেখার পরিবর্তে একটি ইমোজি দিয়েই অনেক কিছু বোঝানো যায়। তবে অফিসে আপনার উর্ধত্বন বসকে ইমোজি পাঠানো থেকে বিরক থাকুন। তিনি আপনাকে পাঠালেও প্রত্যুত্তরে আপনি ইমোজি পাঠাবেন না। কারণ প্রত্যেক অফিসের কাজের পরিবেশ এবং কর্মীদের মধ্যকার সম্পর্কের ধরনও ভিন্ন হয়ে থাকে। ফলে কর্ম পরিবেশ এবং কর্মীদের সাথে ভালোভাবে পরিচিত না হয়ে ইমোজি পাঠানো থেকে বিরত থাকুন। যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞ পেনেলোপ ট্রাঙ্ক বলেন, ‘ই-মেইলে ইমোজির ব্যবহারে অন্যরা আপনাকে অদক্ষ ভাবতে পারে।’

অজুহাত খোঁজা

পৃথিবীতে কোনো মানুষই নির্ভুল নয় এবং কাজ করতে গেলে ভুল হবে হবে এটাই স্বাভাবিক। ফলে অফিসের কোনো কাজে যদি ভুল করেন, অজুহাত না খুঁজে সেটাকে স্বীকার করে নিন। তবে সবসময় ভুল করবেন আর স্বীকার করবেন এটাও পেশাদারিত্বের লক্ষণ নয়। কারণ কাজে ঢিলাঢালা লোককে কেউ পছন্দ করে না।

খালি টেবিল

পেশাদারী এবং ব্যক্তিগত জীবন আলাদা রাখাই শ্রেয় তবে সবসময় নয়। ট্রাঙ্কের মতে, ‘অফিসে আপনার কাজের টেবিলে কোনো ধরনের ব্যক্তিগত নিদর্শন যেমন- নোটপ্যাড, ছবি বা কলম না থাকা প্রমাণিত করে আপনি কাজে মনোযোগী নন। আপনি অফিসে দীর্ঘক্ষণ ধরে থাকেন। ফলে আপনার কর্ম পরিবেশকে উপভোগ করবেন না কেন। টেবিলকে একেবারে ব্যক্তিগত নিদর্শন শূণ্য না রেখে আপনার বাচ্চার ছবি রাখতে পারেন। এটা আপনার কাজে উদ্দীপনা যোগাবে।

জগিং প্যান্টস

বেশ কয়েক বছর ধরে অফিসগুলোতে দাপ্তরিক পোশাক পরার চল উঠে গেছে বললেই চলে। আগের দিনে অফিসে যেখানে স্যুট-প্যান্ট দেখা যেত বর্তমানে সেখানে জিন্স-টি শার্ট দেখা যায়। অধিকাংশ জায়গায় এখন ‘বিজনেস ক্যাজুয়াল’ পোশাকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। এর ভালো-মন্দ দুটি দিকই আছে। ভালো দিক হচ্ছে, সবাই সমসময় স্যুট-টাই পরিধান করতে চায় না। আর খারাপ দিক হচ্ছে, ক্যাজুয়াল পোশাকে অনেকেই আপনাকে অপেশাদার ভেবে বসতে পারে।

নির্ধারিত সময়ের আগে কর্মস্থল ত্যাগ

সপ্তাহে এক দুই দিন আগে অফিস ত্যাগ মোটেও বড় কোনো বিষয় নয়। কিন্তু এটা যদি অভ্যাসে পরিণত হয় তবে তা আপনার কর্ম জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। অবশ্যই ব্যতিক্রম কিছু ব্যাপার থাকতে পারে, যেমন- আপনি হয়তো একদিন আপনার বাচ্চাকে স্কুলে আনতে যেতে বিশ মিনিট আগে অফিস থেকে চলে গেলেন। তবে এক্ষেত্রেও আপনার উচিত উর্ধ্বতন বসকে বলে যাওয়া। ট্রাঙ্ক বলেন, ‘আপনি অন্যদের আগে অফিসে আসুন আর নাই আসুন নির্ধারিত সময়ের আগে কর্মস্থল ত্যাগ করার মানে হচ্ছে, আপনি আপনার কাজকে গুরুত্ব দেন না।’

গসিপ করা

কাজের সময় গল্প করা বা অন্যদের সম্পর্কে সমালোচনা করা (গসিপ) কেউই পছন্দ করে না। এই ধরনের অভ্যাস আপনাকে অন্যদের কাছে ছোট করবে। আপনি হয়তো বিশ্রাম কক্ষে বসে এক সহকর্মীর কাছে অন্য সহকর্মীর নামে রসালো গল্প করছেন। আর আপনার অজান্তেই অন্য কেউ এই গল্প শুনে ফেললে আপনি তার কাছে ছোট হয়ে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং সবচেয়ে ভালো হচ্ছে ছোটবেলায় মায়ের শেখানো উপদেশ: কোন কিছু সুন্দর করে না বলতে পারলে কিছু বলার দরকারই নাই।

(আাগামী পর্বে সমাপ্য)

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট ঢাকা/ফিরোজ