লাইফস্টাইল

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে হ্যান্ডওয়াশ চ্যালেঞ্জ

মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধে শুরু হয়েছে হ্যান্ডওয়াশ চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ প্রতিযোগিতা। ইউএনডিপি, বাংলাদেশ স্কাউটস, ডেটল হারপিক পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ এবং দুরন্ত টেলিভিশনের সম্মিলিত উদ্যোগে অনলাইনে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ মানেই পড়ালেখার কার্যক্রম বন্ধ নয়, ঘরে বসেই গড়ে উঠুক সংক্রমণ বিস্তারে প্রতিরোধ- এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। অনলাইনের মাধ্যমে যেকেউ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। সাবান কিংবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সঠিকভাবে হাত ধোয়ার ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেই জিতে নেওয়া যাবে পুরস্কার। প্রতিদিন ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। পরবর্তীতে বিজয়ীদের দেওয়া হবে আকর্ষণীয় সব পুরস্কার।

হ্যান্ডওয়াশ চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণের জন্য প্রথমেই ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে হাত ধোয়ার ছবি অথবা ভিডিও পাঠাতে হবে এবং অংশগ্রহণকারীর ফেসবুক ওয়ালে তা আপলোড করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ফেসবুক পোস্টটির প্রাইভেসি পাবলিক করে দিতে হবে এবং পোস্টে #WashHandsBeatCorona এবং #StayatHome ব্যবহার করতে হবে। হাত ধোয়ার এই কাজটি করতে ফেসবুকে দেয়া পোস্টে দুইজনের নাম মেনশন করে তাদেরকে চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে হবে। ছোট্ট সোনামণিরাও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। এক্ষেত্রে বড়রা তাদের সহযোগিতা করতে পারবেন, যেমন বাবা-মা বা বড় কেউ বাচ্চাকে হাত ধুয়ে ও দেখিয়ে দিতে পারবেন। এছাড়াও beatthecovit19bd1@gmail.com, beatthecovit19bd2@gmail.com, beatthecovit19bd3@gmail.com এই ঠিকানায় পাঠানো যাবে হাত ধোয়ার ছবি ও ভিডিও।

বাংলাদেশ স্কাউটস এর সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা মানে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বন্ধ নয়। শিক্ষার্থীরা যাতে বাসায় থেকে তাদের পড়ালেখা চালিয়ে যায় এবং বাসার বাইরে না যায় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করছি। দেশের এই অবস্থায় ঘরে থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই বিষয়ে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া ঠিক হবে না। শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণকে সচেতন করতেই আমাদের এই প্রচেষ্ঠা।’ ইউএনডিপির সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি খুরশিদ আলম অভিভাবকদের অনুরোধ করেছেন, তারা যেন সন্তানদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন এবং শিশুদের নতুন চিন্তা ও উদ্ভাবনী শক্তি জাগ্রত করতে উদ্বুদ্ধ করেন। এছাড়াও, নিজ নিজ সন্তানকে এই ছুটির সময়ে বিভিন্ন রকম জীবনমুখী শিক্ষায় সম্পৃক্ত করে তাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে আহবান জানান তিনি। স্বাস্থ্যগত সকল বিধিনিষেধ মেনে চলে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিশুরা পরস্পরকে সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে উৎসাহিত করবেন বলে আশা করেন তিনি।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. হাসিনা বানু বলেন, ‘বিশেষ প্রয়োজন ব্যতিত বাসার বাইরে কেউ বের হবেন না। ভালোভাবে (কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড) সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে (কাপড় কাঁচার সাবান বেশি উত্তম)। হাত ধোয়ার সময় যাতে পানির অপচয় না হয়, সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।’

 

ঢাকা/ফিরোজ