লাইফস্টাইল

এয়ার কুলার কেনার আগে খেয়াল রাখুন ৮ বিষয়

গ্রীষ্মের এ সময়ে প্রায় প্রতিদিন তীব্র গরম। বাইরের পাশাপাশি ঘরেও হাঁসফাঁস অবস্থা। আর সারাদিনের পরিশ্রম শেষে ঘরে ফিরে যদি গরমের জন্য জীবন অসহনীয় হয়, তাহলে বিরক্তির আর শেষ থাকে না। 

খুব সহজেই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে পারে এয়ার কুলার। এসির মতো ঘর ঠাণ্ডা না রাখতে পারলেও এয়ার কুলার ঠাণ্ডা বাতাস দেয়- যা এই অসহ্য গরম মোকাবেলায় আপনাকে সাহায্য করবে অনেকটাই। এসির তুলনায় দাম কম হওয়ায় এয়ার কুলার কিনে হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে পারাটা এখন অধিকাংশ মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই।

তাছাড়া এয়ার কুলার ব্যবহার করলে সাধারণ এসির চেয়ে ৭০%-৮০% কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। এয়ার কুলারের আরেকটা দারুণ সুবিধা হচ্ছে এর পোর্টেবিলিটি। সহজেই এক ঘর থেকে আরেক ঘরে নেওয়া যায় ও আপনি আপনার সুবিধামতো জায়গায় রাখতে পারবেন এয়ার কুলারটি। এছাড়া এয়ার কুলার পরিবেশবান্ধব। কোনো প্রকার ইনস্টল করারও ঝামেলা না থাকায় কিনে নিয়েই ব্যবহার করা যায়। গরমে এয়ার কুলারের ফিল্টার করা ঠাণ্ডা বাতাস আপনাকে রাখবে ফুরফুরে।

সুতরাং, আপনার যদি এয়ার কুলার কেনার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখলে সুবিধা হবে আপনারই।

পার্সোনাল কুলার বনাম ডেসার্ট কুলার: গরমে আরাম পেতে কোন এয়ার কুলার আপনার জন্য বেস্ট তা আগে থেকে জেনে নিতে চোখ রাখুন আপনার ঘরের আয়তনের দিকে। মাঝারি বা ছোট মাপের হলে সেইমতো কুলার পছন্দ করুন। বড় মাপের ঘরের জন্য ডেসার্ট কুলার পারফেক্ট। ঘরের মাপ যদি ১০০ স্কোয়ার ফিট থেকে ৩০০ স্কোয়ার ফিটের মধ্যে হয় তাহলে পার্সোনাল কুলার কিনুন। আর ঘরের মাপ যদি ৩০০ স্কোয়ার ফিটের থেকে বড় হয় তাহলে ডেসার্ট কুলার কিনলে আরাম পাবেন।

ওয়াটার ট্যাংকের ক্যাপাসিটি: এয়ার কুলারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ওয়াটার ট্যাংক। কুলারের আকার যদি বড় হয়, তাহলে কুলারের মধ্যে ওয়াটার ট্যাংকের ক্যাপাসিটিও বেশি হবে। তাই রুমের মাপ বিবেচনায় এয়ার কুলার কিনলে সঠিক সুবিধা পাবেন। ছোট ঘরের জন্য ১৫ লিটার আর মাঝারি মাপের ঘরের জন্য ২৫ লিটার এয়ার কুলার পছন্দ করুন।

আবহাওয়া অনুযায়ী কুলার: যেখানে আবহাওয়া রুক্ষ সেখানে ডেজার্ট কুলারের থেকে ভালো কিছু হয় না। আর যেখানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা বেশি সেখানে পার্সোনাল বা টাওয়ার কুলার অনেক কার্যকরী।

নয়েজ লেভেল: কিছু কিছু কুলারে খুব বেশি আওয়াজ হয়। যা ঘুমে সমস্যা করতে পারে। তাই কুলার কেনার সময় অবশ্যই এ বিষয়টা দেখে নিন। কুলারের ফ্যানের স্পিড বেশি হলে ঘড় ঘড় করে কোনো শব্দ হচ্ছে কিনা লক্ষ্য করুন।

অটো রিফিল ফাংশন: কুলার রিফিল করা ঝামেলার কাজ। এই ঝামেলা এড়াতে অটো রিফিল ফাংশন রয়েছে কিনা দেখে নিন। কুলার পরিচালনা ও পরিষ্কার রাখার প্রক্রিয়া সহজ হলে ভালো কুলিং হয়। এছাড়াও, অটো রিফিল ফিচার ট্যাংকটিকে সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়া থেকে রোধ করবে। ফলে মোটরটিও ক্ষতি হয় না।

কুলিং প্যাডের গুণমান: কুলিং প্যাডগুলো কুলারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কুলারের জন্য বিভিন্ন ধরনের কুলিং প্যাড পাওয়া যায়। সাধারণত উল উড, অ্যাস্পেন প্যাডস, হানিকম্ব প্যাডস। হানিকম্ব প্যাডগুলো অনেকক্ষণ ঠান্ডা থাকে এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কম খরচ হয়। তাই অন্য দুটির তুলনায় এই কুলিং প্যাড অনেক ভালো।

বিদ্যুতের খরচ: বিদ্যুতের খরচ কেমন হবে, এয়ার কুলার কেনার আগে তা জেনে নিতে ভুলবেন না যেন। সাধারণত আধুনিক কুলারগুলোতে ইনভারটার টেকনোলজি যুক্ত করা থাকে। তাই বিদ্যুৎ চলে গেলেও কুলার মেশিন যেমন চলছিল ঠিক তেমনিই চলবে।

স্পেশাল ফিচার: কুলারে রিমোট কন্ট্রোল, মশা নিরোধক ফিল্টার, আইস চেম্বার, ডাস্ট ফিল্টারের মতো অতিরিক্ত কী কী সুবিধা রয়েছে তা বিবেচনা করুন।