লাইফস্টাইল

জ্বালানির চড়া মূল্য: যানবাহনে কিংবা বাইকে তেল সাশ্রয় করার উপায় 

বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। বিপাকে পড়েছেন মোটরযান ব্যবহারকারীরা। বাস, ট্রাক কিংবা লঞ্চ মালিকদের চেয়ে একটু বেশিই বিপদে পড়েছেন মোটরসাইকেল এবং ব্যক্তিগত গাড়ি যারা ব্যবহার করেন তারা। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা অবশ্য তাদের আশ্বস্ত করতে শুনিয়েছেন আশার বাণী। বলেছেন এমন কিছু উপায় যেগুলো মেনে চললে তেল সাশ্রয় করা সম্ভব। 

এ প্রসঙ্গে রাইজিংবিড়ির সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইমিরেটস অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কুয়ামরুল ইসলামের সঙ্গে। এ ছাড়াও কথা হয় দীর্ঘদিন মোটরসাইকেল সারাইয়ের কাজ করছেন এমন কয়েকজন মেকানিকের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে  আলাপচারিতায় উঠে এসেছে জ্বালানি তেল সাশ্রয়ের উপায়। যেমন: 

গাড়ির ইঞ্জিনসহ অন্যান্য যন্ত্রের নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। সেগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে বিশেষ করে কম্প্রেশার এবং পিস্টন।   অবশ্যই ভালো মানের পাম্প থেকে তেল নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বাইরের দোকান থেকে খোলা তেল কিনে ব্যবহার করা যাবে না।  মোটরসাইকেল বা যানবাহনে অতিরিক্ত ওজন বহন করা যাবে না। ওজন ইঞ্জিনের ওপর চাপ তৈরি করে যেটি তেল খরচের সঙ্গে সম্পর্কিত।  চাকায় সঠিক পরিমাণে হাওয়া রাখতে হবে। খুব কম অথবা বেশি হাওয়া ক্ষতিকর।  চলাচলের জন্য ভাঙা রাস্তা পরিহার করতে হবে। 

ভালো ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করতে হবে যাতে ইঞ্জিন ভালো থাকে। ফুয়েল ইঞ্জেকশন সিস্টেম সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নিয়মিত চেক করতে হবে।  লো গিয়ারের চেয়ে টপ গিয়ারে গাড়ি চালালে তেল সাশ্রয় বেশি হয়।  রোদে গাড়ি রাখবেন না, ছায়াযুক্ত স্থানে গাড়ি রাখুন। বাইকের চেইনে টানটান ভাব রাখুন। নিয়মিত পরীক্ষা করুন। চেইন ঢিলা হলে তেল বেশি খরচ হবে। আরপিএম ৫০০০ থেকে ৬০০০ এর মধ্যে রাখা ভালো। ঘন ঘন গিয়ার পরিবর্তন করা যাবে না।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কুয়ামরুল ইসলাম স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ঢাকা শহরে অনেক ট্রাফিক জ্যাম হয়। বারবার গাড়ি থামাতে হয়। এতে তেল বেশি খরচ হয়। জ্যামে পড়লে গাড়ি স্টার্ট না রেখে অফ করে রাখলে তেল খরচ কমবে। তিনি এ জন্য গাড়ির ইঞ্জিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।