লাইফস্টাইল

আমের খোসায় রূপচর্চা

আম খাওয়ার উপকারিতা কম-বেশি সবাই জানেন, কিন্তু আমের খোসার উপকারিতা জানেন কম মানুষই। জানলে আম খাওয়ার পর খোসা অনেকেই হয়তো আর অবহেলায় ফেলে দেবেন না। রূপচর্চায় আমের খোসার রয়েছে নানান ব্যবহার। যেমন: 

রোদে পড়া ত্বকের দাগ দূর করতে: অতিরিক্ত গরমের কারণে অনেকের ত্বকে রোদে পোড়া ভাব দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন আমের খোসা। প্রথমে আমের খোসা ধুয়ে বেটে নিতে হবে। সঙ্গে মেশাতে হবে লেবুর রস। বানানো প্যাক রোদে পোড়া অংশে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতে মিলবে উপকার।

ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য: ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে আমের খোসার ব্যবহার অনেক পুরনো। আমের খোসা বেটে এর সঙ্গে এক চা চামদ মধু ও দুধ মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণ ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। এ ছাড়াও আমের খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। 

ত্বক মসৃণ করতে: ত্বক মসৃণ করতে আমের খোসার সঙ্গে দুই চা চামচ কাঁচা দুধ এবং তিন চা চামচ আমন্ড বাটা, এক চামচ ওটস মিশিয়ে নিন। ফেসপ্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। 

রোমকূপ সংকোচনে: রোমকূপ সংকোচনে দারুণ কাজে লাগে আমের খোসা। ফ্রিজে রাখা আমের খোসা ত্বকে চক্রাকারে মেখে নিন। এতে ত্বক শিথিল হয় এবং রোমকূপ সংকুচিত হয়। রোমকূপের ছিদ্র সংকুচিত হলে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

স্ক্রাবার হিসেবে: আমের খোসা ভালো করে ধুয়ে ব্লেন্ড করে কফি পাউডার মিশিয়ে নিন। আপনার ত্বক তেলতেলে না হলে একটু নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। স্ক্রাব করলে সেদিন আর ত্বকে সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না।