লাইফস্টাইল

ঘুমের মাঝে দুঃস্বপ্ন এড়াতে যা করবেন

ঘুমের মধ্যে সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখতে কার না ভালো লাগে? সুন্দর স্বপ্ন দেখলে ঘুম ভাঙার পর মনটাও ভালো থাকে। অপরদিকে দুঃস্বপ্ন দেখলে তো আর কথাই নেই। সাধের ঘুম তো ভাঙেই, সেই সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আতঙ্কে থাকতে হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর রাশ-প্রেসবিটেরিয়ান-সেন্ট লিউক’স মেডিক্যাল সেন্টারের স্লিপ ডিসঅর্ডার সার্ভিসের পরিচালক রোসালিন্ড কার্টরাইট ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্নকে ঠেকানোর বেশ কিছু উপায় জানিয়েছেন। তার মতে- 

ধরে নিন যে আপনি দুঃস্বপ্ন দেখতে যাচ্ছেন: আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে ধরে নিন যে আপনি দুঃস্বপ্ন দেখবেন, এতে আপনার দুঃস্বপ্ন দেখা বন্ধ হবে। আপনি হয়তো একবারের চেষ্টায় এতে সফল হবেন না, কিন্তু কয়েকবারের প্রচেষ্টায় দুঃস্বপ্ন বিদায় নেবে।

দুঃস্বপ্নকে থামান: বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আপনি স্বপ্নকে থামাতে পারবেন। আপনি সিম্পলি এটি করতে পারেন যদি বুঝতে পারেন যে আপনি যা দেখছেন তা দুঃস্বপ্ন।

স্বপ্নকে পরিবর্তন করুন: নেতিবাচক স্বপ্নকে ইতিবাচক স্বপ্নে রূপান্তর করুন। এটি করার জন্য আপনাকে জেগে ওঠতে হতে পারে, কিন্তু অবশেষে আপনি ঘুমের মধ্যে নেতিবাচক স্বপ্নকে ইতিবাচক স্বপ্নে রূপান্তর করতে পারবেন।

স্বপ্ন ডায়েরি রাখুন: আপনার বিছানার পাশে একটি স্বপ্ন ডায়েরি রাখুন এবং প্রতি সকালে এতে আপনার দেখা সব স্বপ্ন লিপিবদ্ধ করুন, শুধুমাত্র দুঃস্বপ্ন নয়, ভালো স্বপ্নও লিখে রাখুন। তারপর নির্দিষ্ট সময় পরপর সেসব স্বপ্ন রিভিউ করুন যা আপনাকে সমস্যায় ফেলে এবং নির্ণয় করার চেষ্টা করুন তারা কেন আপনাকে আপসেট করছে। তারপর উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আপসেট দূর করার চেষ্টা করুন।

স্ট্রেস কমান: দুঃস্বপ্নের মূল কারণের একটি নিদারুণ স্ট্রেস। বিষণ্নতা, উৎকণ্ঠা ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্নকে ডেকে আনে। সুতরাং দুঃস্বপ্ন প্রতিরোধ করতে বিছানায় যাওয়ার আগে আপনার মনকে শান্ত করুন। এক্ষেত্রে আপনি শান্ত সংগীত শুনতে পারেন, বাতিগুলো বন্ধ করে দিতে পারেন, ধ্যান বা প্রার্থনা করতে পারেন, হালকা সুগন্ধযুক্ত মোমবাতি জ্বালাতে করতে পারেন বা বই পড়তে পারেন। মূল কথা হলো, ঘুমানোর আগে আপনার মনকে প্রশান্ত করে, এমন কাজ করুন।

কার্টরাইট তার ‘ক্রাইসিস ড্রিমিং’ বইয়ে লিখেছেন, ‘মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখাটা স্বাভাবিক। কিন্তু বারবার দেখাটা স্বাভাবিকতার পর্যায়ে পড়ে না।’ বারবার দুঃস্বপ্ন দেখলে কোনো ডাক্তার, সাইকিয়াট্রিস্ট কিংবা থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

তথ্যসূত্র: দ্য হেলদি