যেকোনো ধরণের মানসিক চাপ আমাদের মনে এক ধরণের অসহায়ত্ব তৈরি করে। বিশেষ করে যে বিষয়গুলো আমাদের ভালো থাকার জন্য এক ধরণের হুমকি স্বরূপ সেগুলো আমাদের মনে চাপ তৈরি করে।
মনোবিদরা বলেন, ‘‘সাধারণত বাহ্যিক যেকোন কিছুকে আমরা চাপ হিসেবে দেখতে পারি, যদি আমরা সেগুলোকে ভালো থাকার জন্য হুমকি মনে করি। আমাদের প্রতিদিনের কিছু সমস্যা, যেমন—জ্যামে আটকে থাকা, কাজের সহকারী আসলো কি আসলো না, সংসারের কাজগুলো গুছিয়ে করতে পারলাম কি না, বাসায় হয়তো কোনো গেস্ট আসবে; এগুলোও আমাদের মনে চাপ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া, আর্থিক সমস্যা, সম্পর্কের জটিলতা, পেশাগত কোনো সমস্যাও আমাদের মনে চাপ তৈরি করে। আর কিছু জিনিস আমাদেরকে অবশ্যই চাপে ফেলে যেগুলোতে আমরা অসহায়ত্ব বোধ করি। ’’
ডা. মেখলা সরকার, সাইকিয়াট্রিষ্ট একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘যেসব জিনিস আমাদেরকে চাপে ফেলে সেগুলোর কারণে আমরা সাধারণত অসহায়ত্ব বোধ করি। এমন অনেক জিনিস আছে সেগুলোর ওপর আমাদের কোনো কনট্রোল থাকে না এবং দেখা যায় যে সেগুলো আমাদের মনের মধ্যে এক ধরণের ওভার লোড তৈরি করে। আমাদের মনে যেসব জিনিস খুব চাপ সৃষ্টি করে সেটা হলো যেকোনো ধরণের মৃত্যু। সেটা হতে পারে প্রিয়জনের মৃত্যু। অথবা প্রিয়জনের বড় ধরণের কোনো অসুখ, সেপারেশন বা ডিভোর্স অর্থাৎ সম্পর্কে যখন বিচ্ছেদ ঘটে সেটা অবশ্যই আমাদের মনে চাপ তৈরি করে। আবার নিজের রোগও আমাদের মনে চাপ তৈরি করে।’’
ডা. মেখলা সরকার আরও বলেন, ‘‘বডি ইমেজ, ওয়েট নিয়ে ওভার কনসার্ন, কেমন লাগছে আমাকে দেখতে; এই ধরণের ভাবনাও আমাদেকে চাপে ফেলে থাকে। ’’
মানসিক চাপ কমানোর জন্য ব্যায়াম করলে ভালো উপকার পেতে পারেন।
নিরাময় হসপিটালের তথ্য, ‘‘মানসিক চাপ কমানোর উপায় হিসেবে ব্যায়াম অনেক ভালো একটা পদ্ধতি। ব্যায়াম যেমন মানসিক চাপ কমায় তেমনই শারীরিক দিক থেকেও উন্নতি সাধন করে। যেমন—হাঁটা, সাইক্লিং, জগিং, ইয়োগা, মেডিটেশন।’’