সব বাবা-মা চান তার সন্তান যেন মানসিকভাবে স্ট্রং হয়। কিন্তু এই স্ট্রংনেস একদিনে আসে না। একটি শিশুকে ইমোশনালি হেলদি করে গড়ে তুলতে কি কি প্রয়োজন? — বাবা মায়েদের এই প্রশ্নের উত্তর জানার সঙ্গে সঙ্গে এটা জানা প্রয়োজন যে, কোন জিনিসটা শিশুর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
ক্লিনিক্যাল সাইক্লোজিস্ট ফারজানা পিয়াস শিশুকে ইমোশনালি হেলদি করার জন্য চারটি পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দিচ্ছি।
ইমোশনগুলোর নামের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন: শিশুদের ইমোশনগুলোর সঙ্গে নামে পরিচয় করিয়ে দিন। সেটা হতে পারে, রাগ, জিদ, হতাশা, টায়াডনেস, স্যাডনেস, হ্যাপিনেস-এই রকম সবগুলো ইমোশনের নামের সঙ্গে শিশুকে পরিচয় করিয়ে দিন। যাতে সে নিজে নিজে আইডেন্টিফাই করতে পারে কোন সময় কেমন ফিল করছে, বা কোন ইমোশনটা ফিল করছে।
শরীরের কোথায় ইমোশনগুলোর প্রভাব পড়ে সেটা বুঝতে শেখান: শিশুকে আরেকটি জিনিস শিখিয়ে দিতে হবে, সেটা হলো— শিশু যে ইমোশনগুলো ফিল করছে সেগুলো আসলে শরীরের কোন পার্টে ফিল হচ্ছে। যেমন— শিশু নার্ভাস ফিল করছে, এই ফিলটা শরীরের কোন জায়গায় বেশি হচ্ছে। অনেক শিশু নার্ভাসনেসটা পেটে ফিল করে। আবার অনেকে নার্ভাসনেসটা বুকের মধ্যে ফিল করে। অনেকের হার্টবিট বেড়ে যায়। তো এই ফিলিংগুলো শিশু কোন জায়গা বেশি ফিল করছে সেটা প্রশ্ন করার মাধ্যমে শিশুকে বুঝতে শিখিয়ে দিতে হবে।
ইমোশন ম্যানেজ করার উপায় শেখান: আপনাকে আরেকটি কাজ করতে হবে তাহলো বিভিন্ন ইমোশনগুলোকে কীভাবে সুন্দর করে, যথাযথভাবে ম্যানেজ করা যায় সে বিষয়ে শিশুকে শিখিয়ে দিতে হবে। যেমন- দশ থেকে এক পর্যন্ত উল্টো দিক থেকে গোনা, পিলো পাসিং করা, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা ইত্যাদি।
নিজেরা সতর্ক হোন: শিশুকে ইমোশন ম্যানেজমেন্ট শেখানোর আগে সবচেয়ে জরুরি বাবা-মায়ের নিজেদের ইমোশন ম্যানেজ করা বা ঠিক রাখা। অর্থাৎ আপনি আপনার নিজের ইমোশনগুলোর নাম দিতে পারেন, শরীরের কোথায় ইমোশনগুলোর প্রভাব তৈরি হয় সেটা আইডেন্টিফাই করতে পারেন এবং বিভিন্ন সিচ্যুয়েশনে ইমোশনগুলোকে কীভাবে যথাযথভাবে কীভাবে ম্যানেজ করবেন, সেদিকে নজর দিতে পারেন। আপনি যখন বিভিন্ন সিচ্যুয়েশনে আপনার ইমোশনগুলো শিশুর সামনে ম্যানেজ করবেন তখন শিশু নিজে নিজেই ইমোশনালি হেলদি হয়ে উঠবে।