সোমবার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে। অনেক মায়ের কোল খালি হয়ে গেছে। আবার কোনো কোনো মা ফিরে পেয়েছেন প্রিয় সন্তানকে। এমন এক মা একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে জানাচ্ছিলেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। তার কথা হুবহু তুলে ধরা হলো।
আজকে ড্রাইভারের ছুটি থাকায় আমার হাসবেন্ড আমার ছেলেকে আনতে যায়। ওকে গেইটে পাচ্ছিলো না। ছেলের কাছে একটা বাটন ফোন ছিলো, সেখানে ফোন দিয়েও পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে আমাকে ফোন দেয়। আমি পাশের বিল্ডিংয়েই কলেজ সেকশনে পড়াই। আমার ছেলে স্কুল সেকশনে পড়ে। হঠাৎ করে একটা বিকট আওয়াজ, মনে হলো যে কিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পরে যে যেখানে ছিলো নামছে। যখন আমি দেখি আমার ছেলের বিল্ডিংয়ে আগুন তখন আসলে আমার খুব একটা সেন্স ছিলো না।
আমি চিৎকার করে বলছি, স্যার আমার ছেলে কোথায়? দেখি দিগ্বিদিকছাত্র-ছাত্রী সবাই ছোটাছুটি করছে। আমার ছেলের বিল্ডিংয়ে আগুন জ্বলছে, দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে, সেখানে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে সবাই তখনও আমার ছেলে ভেতরে। ওর ফ্রেন্ডদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ওর ফ্রেন্ডদেরকে বলি, সূর্য কোথায়? সূর্য কোথায়? কেউ ঠিক মতো বলতে পারছিলো না। আবার কেউ বলছিলো, ও বোধ হয় ভেতরে আছে। কিন্তু বের হওয়ার পথে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিলো।
আমি শক্ত থাকার চেষ্টা করছিলাম। আমি ভেঙে পড়লেতো আমার ছেলেকে খুঁজে পাবো না। আমার মনে হচ্ছিলো, আমার ছেলে কোথাও থেকে বেঁচে গিয়ে আমাকে ফোন দেবে। এদিকে উদ্ধারকারীরা ওদের বিল্ডিংয়ের দুইপাশে গ্রিল কেটে, দুইদিক থেকে বাচ্চাদেরকে টেনে টেনে বের করছে। আমি ওইদিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ আমার ছেলের ফোন পাই। আন নোন নাম্বার থেকে ফোন করে বলে, মা আমি বাংলা মিডিয়ামের বিল্ডিংয়ে চলে এসেছি। আমি এখানে আছি। এটা শোনার পর আমার জানে পানি আসলো।