লাইফস্টাইল

শীতেও শরীর ঘামে? করণীয় জেনে নিন

শীতকালেও শরীর ঘামতে পারে। বিশেষ করে যাদের থাইরয়েডের সমস্যা বা হরমোনের ভারভাসম্যহীনতা রয়েছে। আবার অনেকে শীত প্রতিরোধে  অতিরিক্ত গরম পোশাক পরিধান করেন, এতে শরীরের ভিতরে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে ঘাম হয়। এছাড়া বেশ কিছু কারণ রয়েছে যেগুলোর ফলে শীতকালেও শরীর ঘামতে পারে।

মানসিক চাপ বা স্ট্রেস উদ্বেগ, চিন্তা বা মানসিক টেনশনে শরীরে অ্যাড্রিনালিন নিঃসৃত হয়, যা ঘামগ্রন্থিকে সক্রিয় করে তোলে। ফলে অতিরিক্ত ঘাম হয়।

অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবারের প্রভাব শীতে ঝাল স্যুপ, আদা-গোলমরিচের চা এগুলো শরীরের ভেতরের তাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই অনেকের ঘাম হয় মুখ, গলা বা মাথায়।

ঘরের অতিরিক্ত উষ্ণতা রুম হিটার বা ব্লোয়ারে ঘরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঘাম উৎপন্ন করে।

ওষুধের প্রভাব কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টিডিপ্রেসান্ট বা হরমোনাল ড্রাগ শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলে। যার ফলে শরীরে ঘাম বাড়াতে পারে।

স্বাস্থ্যজনিত কারণ ডায়াবেটিস, লো ব্লাড সুগার বা জিনগত হাইপারহাইড্রোসিস থাকলে শীতেও ঘাম হওয়া স্বাভাবিক।

ঘাম প্রতিরোধে করণীয়

এক. হালকা ও আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে।

দুই. শরীরচর্চার পর ঘাম শুকিয়ে ফেলুন।

তিন. মশলাযুক্ত খাবার কমান।

চার. ত্বক শুষ্ক রাখতে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করুন।

পাঁচ. দীর্ঘস্থায়ী এই সমস্যা হলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

শীতকালে ঘাম হওয়া সবসময় রোগের লক্ষণ নয়। বরং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। তবে যদি অতিরিক্ত ঘাম দৈনন্দিন জীবনে অস্বস্তি আনে, তা হলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। 

সূত্র: টিভি নাইন