লাইফস্টাইল

বডি লোশন ব্যবহারের স্মার্ট টিপস

বডি লোশন ব্যবহারের পরেও শরীর  ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজ নাও হতে পারে। বডি লোশন ব্যবহারের সময় বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। 

গোসলের ঠিক পরেই ব্যবহার করুন সবচেয়ে ভালো সময় হলো আপনার ত্বক যখন হালকা ভেজা থাকে তখন— অর্থাৎ গোসলের ঠিক পরেই। এতে ত্বকে আর্দ্রতা লক হয়ে যায় এবং ত্বক বেশি সময় পর্যন্ত হাইড্রেটেড থাকে। হাতের তালুতে সামান্য ঘষে লোশনকে গরম করে নিন, তারপর লোশন ব্যবহার করুন।

আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক বডি লোশন বাছাই করুন সব লোশন একই রকম হয় না — সঠিক ফর্মুলা বেছে নেওয়াই গুরুত্বপূর্ণ:

•  শুষ্ক ত্বক: ঘন, ক্রীমি টেক্সচারযুক্ত লোশন বেছে নিন — যেমন শিয়া বডি বাটার।

• তেলাক্ত/ওয়েট স্কিন: হালকা, দ্রুত শোষিত ফর্মুলা ভালো। যেমন আলমন্‌ড মিল্ক বডি ইয়োগার্ট।

• পুরুষদের ত্বক: পুরুষদের ত্বক সাধারণত বেশি বেশি তেলও থাকে, তাই নন-স্টিকি টেক্সচারের লোশন বেছে নিন — যেমন হেম্প বডি বাটার।

• গরমে: হালকা, জেল-ভিত্তিক ফর্মুলা নিতে পারেন — যেমন মোরিঙ্গা বডি ইয়োগার্ট। 

কঠিন স্থানে লোশন লাগাতে ভুলবেন না শরীর ভাঁজগুলোতে ত্বক শুষ্ক থাকে তাই এসব জায়গায় বডি লোশন ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে।

চক্রাকারে মালিশ করুন — ত্বকে ভালো ধরে শুধু তৎক্ষণাৎ লাগিয়ে দিলেই হবে না — আলতো করে চক্রাকারে মালিশ করলে ত্বকে লোশন আরও ভালো করে শোষিত হয় এবং রক্তাধান বাড়ে। এটি একধরনের রিল্যাক্সিং রুটিন হিসেবেও কাজ করে। 

দীর্ঘস্থায়ী আর্দ্রতার জন্য লেয়ারিং করুন যদি ত্বক খুব বেশি শুষ্ক থাকে, তাহলে ত্বককে ধাপে ধাপে হাইড্রেট করুন — প্রথমে হালকা লোশন, পরে শুষ্ক জায়গাগুলোতে একটু বেশি নমনীয় (রিচ) ফর্মুলা দিন। 

হাত ও পায়ের যত্নও নিন হাত ও পা সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কিন্তু প্রায়ই এগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া হয়। রাতে শোবার আগে এগুলো ভাল করে লোশন দিয়ে নিন এবং চাইলে গ্লাভস ব্যবহার করলে শোষণ আরও ভালো হয়। 

মুখের জন্য আলাদা লোশন ব্যবহার করুন মুখের ত্বক শরীরের ত্বকের মতোই কিন্তু তার জন্য আলাদা সঠিক ফর্মুলা থাকা উচিত। শরীরের লোশন মুখে ব্যবহার করলে তা পোর বন্ধ করে দিতে পারে বা ভারী অনুভূত হতে পারে। তাই মুখের জন্য মুখের ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। 

দীর্ঘমেয়াদে উন্নতি চাইলে সঠিক নিয়মে নিয়মিত লোশন ব্যবহার করা জরুরি।