মার্সেল ডিজিটাল ক্যাম্পেইন

মায়ের পরামর্শে মার্সেল ফ্রিজ কিনে ঘরভর্তি পণ্য পেলেন আঁখি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিজের একটি সাজানো-গোছানো সংসার। ঘরে থাকবে টিভি-ফ্রিজসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্য। অধিকাংশ গৃহিনীর স্বপ্ন এটি। আকলিমা খাতুন আঁখিরও ঠিক একই চাওয়া ছিল। কিন্তু সামর্থ্য অনুযায়ী সব চাওয়া পূরণ করা সম্ভব ছিল না। তাই প্রথম চাহিদা ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মায়ের পরামর্শে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেলের ফ্রিজ কিনে তার সব চাওয়াই পূরণ হয়েছে। তার ঘর এখন ভরে গেছে পছন্দের ইলেকট্রনিক্স পণ্যে। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আকলিমা খাতুন আঁখি। স্বামী রমজান আলী দুবাইয়ে কাজ করেন। চার বছরের একটি ছেলে আছে এই দম্পত্তির। বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর, ননদসহ আটজনের যৌথ পরিবারে বাস ছিল তার। কিন্তু সম্প্রতি যৌথ পরিবার থেকে বেরিয়ে নিজের ছোট্ট সংসার গুছিয়ে নিচ্ছেন আঁখি। ছোট্ট ঘরে একটি খাট ও একটি আলনা ছাড়া আর কিছুই নেই। শ্বশুরের কেনা একটি পুরাতন টেলিভিশন আছে। কিন্তু সেটি থাকে শাশুড়ির ঘরে। এ অবস্থায় অন্তত একটি ফ্রিজ না হলে চলছিল না। আকলিমা খাতুন আঁখি বলেন, কয়েক মাস হলো সংসার আলাদা হয়েছে। ঘরে আমাদের কিছুই নেই। স্বামীকে বলেছিলাম প্রতিমাসে যে টাকা পাঠাবে, তা থেকে কিছু জমিয়ে রেখে ঘরের জন্য জিনিস কিনব। যেহেতু শাশুড়ির ঘরে টেলিভিশন আছে, তাই আগে ফ্রিজ কিনব বলে ঠিক করি। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার তার স্বামী টাকা পাঠান। তাই পরিকল্পনা অনুসারে শনিবার ফ্রিজ কিনতে ঈশ্বরগঞ্জের মার্সেলের শোরুম মেসার্স টেকো সেলস সেন্টারে যান তিনি। পছন্দ অনুযায়ী ২২ হাজার ৭০০ টাকা দিয়ে একটি মার্সেলের ফ্রিজ কেনেন।

আকলিমা খাতুন আঁখির হাতে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হয়

আকলিমা খাতুন আঁখি বলেন, ফ্রিজ কেনার পর কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করি। পরে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারের মেসেজ আসে আমার মোবাইলে। কিন্তু শুরুতে বিশ্বাসই হচ্ছিল না আমার। পরের দিন রোববার শোরুম থেকে ফোন করে জানানো হয় যে, আমি সত্যিই ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছি। শুনে অনেক খুশি হয়েছি। আমি সত্যিই লাকি। এত ভালো লাগছে যে কাউকে বোঝাতে পারব না। তিনি আরো বলেন, ফ্রিজের পাশাপাশি টেলিভিশন কেনারও ইচ্ছে ছিল। কারণ, আমি টেলিভিশন দেখে সময় কাটাই। মন চাইলেও টেলিভিশন দেখতে পারছিলাম না। কারণ, শাশুড়ির ঘরে টেলিভিশন থাকে। এখন আমার সে স্বপ্নও পূরণ হয়েছে। ফ্রিজের পাশাপাশি টেলিভিশনের চাহিদা তো মিটেছে, সাথে রাইসকুকার, মাইক্রোওয়েভ ওভেনসহ ঘরভর্তি অসংখ্য মার্সেল পণ্য পেয়েছি। মার্সেল ফ্রিজ কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার বাপের বাড়িতে মার্সেল ফ্রিজ আছে। মা বলেছে, ফ্রিজ কিনলে মার্সেলের কিনতে। এ কোম্পানির ফ্রিজ নাকি ভালো। তাই মায়ের কথামতো মার্সেল কিনেছি। উল্লেখ্য, অনলাইনে ক্রেতাদের দোরগোড়ায় দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে গত ৮ অক্টোবর থেকে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে মার্সেল। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার দেওয়া হচ্ছে। ১০ হাজার টাকা বা তার অধিক মূল্যের মার্সেল পণ্য কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই মিলছে ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। এ অফার থাকছে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ নভেম্বর ২০১৭/সুজন/রফিক