মিডিয়া

খুলনায় গণমাধ্যম কর্মীদের ‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতা’ বিষয়ক কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক,খুলনা : খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান বলেছেন, দেশে ইতোপূর্বে ধর্মের নামে যে কয়টি সহিংস ঘটনা  ঘটেছে, তদন্তে দেখা গেছে তার কোনোটিই ধর্মকে কেন্দ্র করে ঘটেনি। বরং ব্যক্তি বিশেষের বিরোধে ধর্মকে ব্যবহারের অপচেষ্টা করা হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীরা সঠিক তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে এ ধরণের সহিংসতা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন। শনিবার নিউজ নেটওয়ার্কের আয়োজনে ও কানাডা দূতাবাসের সহযোগিতায় গণমাধ্যমকর্মীদের ‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতা’ বিষয়ক তিনদিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর নিরালাস্থ উন্নয়ন সংস্থা সেইন্ট বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালাটি শুরু হয়েছে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক মো. শহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ফারুক আহমেদ এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মো. মামুন অর রশীদ। কর্মশালায় ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা অ্যাডভোকেট মো. এনায়েত আলী। খুলনা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. ফারুক আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির মূল স্থম্ভ হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতা। কিন্তু সেটি এখন নেই। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে, যদিও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মো. মামুন অর রশীদ বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সমাজে এর নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এজন্য বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। অ্যাডভোকেট মো. এনায়েত আলী বলেন,’৭২ পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে ধর্মের নামে বারবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবিধানকে ব্যবহার করা হয়েছে। কর্মশালায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীসহ খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ২৫ জন সংবাদকর্মী অংশগ্রহণ করছেন। রাইজিংবিডি/০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ খুলনা/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/শাহেদ