মিডিয়া

সপ্তম বর্ষে যমুনা টেলিভিশন

৬ বছর পূর্ণ করে ৫ এপ্রিল ৭ম বর্ষে পদার্পণ করছে দেশের জনপ্রিয় সংবাদভিত্তিক চ্যানেল যমুনা টেলিভিশন। সার্বক্ষণিক মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সারথি করে ২০১৪ সালের ৫ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে টেলিভিশন চ্যানেলটি।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে টেলিভিশন চ্যানেলটি এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে কোনো ধরনের আড়ম্বরতা করছে না। বরং আর সকল দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের মতো করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে চ্যানেলটি। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যম হিসেবে প্রতিদিনের কন্টেন্ট দিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের উপায় তুলে ধরার পাশাপাশি অসহায় মানুষের সংকট তুলে ধরা এবং সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে দেশের অন্যতম শীর্ষ গণমাধ্যমটি। পাশাপাশি, গণমাধ্যমকর্মীদেরও নিরাপদ থাকতে উৎসাহিত করছে।

যমুনা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক ফাহিম আহমেদ জানান, ‘করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতেও এর প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থায় গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে আমরা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি। জাঁকজমকভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজন না করে দায়িত্বশীলতার সাথে দর্শককে সংবাদ ও তথ্য সরবরাহ করার চেষ্টা করছি।’

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে টেলিভিশন চ্যানেল হিসেবে বস্তুনিষ্ঠভাবে সর্বশেষ সংবাদ তুলে ধরার চেষ্টা করে আসছে টেলিভিশন চ্যানেলটি। নাগরিক ভোগান্তি ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার পাশাপাশি বড় বড় অনিয়ম দুর্নীতির খবর তুলে ধরে আলোচনায় আছে যমুনা টেলিভিশন। পাশাপাশি, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে জলদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা, মানুষকে সরাসরি জনপ্রতিনিধি, ডাক্তারসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের সাথে সংযুক্ত করার মতো কাজও করেছে প্রতিষ্ঠানটি। নিয়মিত বুলেটিনের পাশাপাশি যমুনা টেলিভিশনের ‘সকালের বাংলাদেশ’, ‘ইনভেস্টিগেশন ৩৬০ ডিগ্রী’, ‘স্পোর্টস ওয়ার্ল্ড’, ‘শোবিজ টুনাইট’, ‘ক্রাইমসিন’ ও ‘২৪ ঘণ্টা’ অনুষ্ঠানগুলোর দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।

টেলিভিশন সম্প্রচারের পাশাপাশি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও ওয়েবসাইট (jamuna.tv), ফেসবুক (facebook.com/JamunaTelevision) ও ইউটিউবের (www.youtube.com/jamunatvbd) মাধ্যমে তথ্য ও সংবাদ উপস্থাপনের কাজ করছে চ্যানেলটি।

 

ঢাকা/ফিরোজ