মিডিয়া

ছাত্রলীগের দু’ গ্রুপে সংঘর্ষ: পাল্টাপাল্টি  মামলা, গ্রেপ্তার ১২

সিরাজগঞ্জে নিহত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয়ের স্মরণে মিলাদ মাহফিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় নামীয় ও অজ্ঞাত মিলে ২৮৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে দুটি মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

বুধবার (৮ জুলাই) বিকেলে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। 

এর আগে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকেলে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় সামনে সংঘর্ষ হয়। পরে তা এসএস রোডে ছড়িয়ে পড়ে। দুই ঘণ্টার সংঘর্ষ চলাকালে উভয় গ্রুপের অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়িয়ে পড়ে। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, বুধবার (৮ জুলাই) দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবীব খোকা বাদী হয়ে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ ও ৩৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ৭০ জনের নাম উল্লেখ ও ১৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা দায়ের করেন। সংঘর্ষের ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করা হয়। তারা দায়ের হওয়া দুটি মামলার এজাহারনামীয় এবং সন্দেহভাজন আসামি। 

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একডালা পুনর্বাসন এলাকার রুবেল হোসেন রনি, আলম সেখ, ফরিদ সেখ, শরিফ ও রেলওয়ে কলোনীর সহোদর সানোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেনকে ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবীব খোকার দায়ের করা মামলায়; আর দত্তবাড়ি মহল্লার জাফরুল ইসলাম রকি, দিয়ারধানগড়ার সালমান, মাহমুদপুর মহল্লার মিন্টু সেখ, শওকত আলী এবং কোলগয়লা মহল্লার সহোদর রনি ও জনিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়ের করা মামলার শীর্ষ পর্যায়ের আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার কাউন্সিলর সেলিম আহম্মেদ, তার ভাই পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাকিল আহম্মেদ, তার ভাই সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পীর সুমন, যুবলীগ নেতা আবু মুসা ও মো.  হোসেন প্রমুখ। 

অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদদের দায়ের করা মামলার শীর্ষ পর্যায়ের আসামিরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিম রেজা নুর দিপু, সয়দাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম, শহর যুবলীগের আহ্বায়ক এমদাদুল হক এমদাদ, ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি টি এম রিজভী ও শহর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল মতিন প্রমুখ। 

গত ২৬ জুন বিকেলে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণে ছাত্রলীগ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে যাওয়ার পথে শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় এনামুল হক বিজয়কে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। ৯ দিন লাইফ  সাপোর্টে থাকার পর ৫ জুলাই সকালে তার মৃত্যু হয়।

 

রাসেল/বকুল