মিডিয়া

‘সংবাদকর্মীদের দাস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না’

সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের দেওয়া বিবৃতিকে সংবাদপত্র শিল্পে নৈরাজ্য সৃষ্টির সুগভীর চক্রান্ত বলে আখ‌্যায়িত করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। সংবাদকর্মীদের দাস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছে সংগঠন দুটি।

শনিবার (২২ আগস্ট) বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ এবং ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এক যৌথ বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন দুটির নেতারা বলেন, ‘নোয়াব প্রতিষ্ঠার বহু আগে থেকেই সংবাদপত্রের সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ কার্যকর রয়েছে। নোয়াব পরিবারের একাধিক সদস্য একসময় এই ওয়েজবোর্ডের আওতায় চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। আজকে তাদের অনেকেই নোয়াবের সদস্য। কোনো মানুষেরই এত দ্রুত অতীত ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’

তারা বলেন, ‘নোয়াবের মনে রাখা দরকার, ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ রাষ্ট্রের আইন। সংবাদপত্রকেও রাষ্ট্রের আইন মেনে চলতে হয়। রাষ্ট্রের আইন মানতে না চাইলে তার পরিণতির কথাও বিবেচনায় রাখতে হবে। নোয়াবের জন্মের পর থেকেই মূলত ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ আইন ভঙ্গ করার প্রবণতা শুরু হয়। তারা নানা কৌশলে নিয়োগপত্রবিহীন সাংবাদিক, কম বেতন, থোক বেতন ও সংবাদকর্মীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কাজ শুরু করে। শুধু তাই নয়, নোয়াব কোনোকালেই কোন ওয়েজবোর্ড পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করেনি। কিন্তু সরকারের প্রদত্ত সব সুযোগ-সুবিধা ঠিকই নিয়েছে।’ 

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সাংবাদিক, শ্রমিক, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

তারা বলেন, ‘কোনো ধরনের বাহানা দেখিয়ে বেতন না দিয়ে, বেতন কমিয়ে, ছাঁটাই করে সংবাদকর্মীদের দাস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। স্বেচ্ছাচারী হয়ে মর্জি মাফিক প্রতিষ্ঠান চালানোর সুযোগ নেই। বিএফইউজে ও ডিইউজে প্রয়োজনে ফেডারেশনের সব সদস্য সংগঠনসহ সারা দেশের সংবাদকর্মীদের নিয়ে এ স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।’