মিডিয়া

রাবেয়া খাতুনকে রাইজিংবিডির শ্রদ্ধা

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ও পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে চ্যানেল আই কার্যালয়ে রাবেয়া খাতুনের মরদেহ রাখা হলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাইজিংবিডির প্রকাশক ও ওয়ালটনের নির্বহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান।

এ সময় শিল্প, সাহিত্যি ও সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই কথাসাহিত্যিককে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

রাবেয়া খাতুন রোববার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় বনানীতে নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

রাবেয়া খাতুনের জন্ম  ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর।  তিনি কথাসাহিত্যিক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও একসময় শিক্ষকতা করেছেন। সাংবাদিকতার সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। দৈনিক ‘ইত্তেফাক’ পত্রিকায় রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর। তাঁর নিজস্ব সম্পাদনায় পঞ্চাশের দশকে প্রকাশ হতো ‘অঙ্গনা’। এটি নারীদের জন্য মাসিক পত্রিকা। 

রাবেয়া খাতুনের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা একশ’রও বেশি। এর মধ্যে রয়েছে উপন্যাস, গবেষণাধর্মী রচনা, ছোটগল্প, ধর্মীয় কাহিনি, ভ্রমণকাহিনি, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথা ইত্যাদি। 

রেডিও, টিভিতে প্রচারিত হয়েছে তার রচিত অসংখ্য নাটক। তার গল্পে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। রাবেয়া খাতুন উপন্যাস লিখেছেন পঞ্চাশটিরও বেশি। এখন পর্যন্ত চার খণ্ডে সংকলিত তার ছোটগল্পের সংখ্যা প্রায় চারশ। 

ছোটদের জন্য লেখা গল্প-উপন্যাসও সংখ্যায় কম নয়। প্রথম উপন্যাস মধুমতী (১৯৬৩) প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই শক্তিমান কথাসাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি পান। ক্ষয়িষ্ণু তাঁতি সম্প্রদায়ের জীবনসংকট ও নাগরিক উঠতি মধ্যবিত্ত জীবনের অস্তিত্ব জিজ্ঞাসার মধ্যে ব্যক্তিকে আবিষ্কার করেছিলেন রাবেয়া খাতুন এই উপন্যাসে। 

রাবেয়া খাতুন বেশকিছু আত্মজৈবনিক স্মৃতিমূলক রচনা লিখেছেন। একাত্তরের নয় মাস (১৯৯০) শিরোনামের গদ্যে লিখেছেন একাত্তরের শ্বাসরুদ্ধকর দিনগুলোর কথা। 

সাহিত্যচর্চার জন্য পুরস্কার হিসেবে রাবেয়া খাতুন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৯৩), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৩), নাসিরুদ্দিন স্বর্ণপদক (১৯৯৫), হুমায়ূন স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮৯), কমর মুশতারী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৪), বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার (১৯৯৪), শেরেবাংলা স্বর্ণপদক (১৯৯৬) ইত্যাদি।