মিডিয়া

শেষ হচ্ছে ‘ভালো খাবো ভালো থাকবো নিউট্রি লিডারস হান্ট’

বর্ণিল আয়োজনে শেষ হতে যাচ্ছে অনলাইনভিত্তিক পুষ্টি বিষয়ক ব্যাতিক্রমী অনুষ্ঠান ‘ভালো খাবো ভালো থাকবো নিউট্রি লিডারস হান্ট’ প্রতিযোগিতা। 

সোমবার (১৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। এতে দেশের ১২ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ছয়জন কিশোর-কিশোরী ‘নিউট্রিলিডার’কে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে। এদিন বিকাল সোয়া ৫টায় অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করবে চ্যানেল আই।

দেশের কিশোর-কিশোরীদেরকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবারে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। জাতীয় পুষ্টিসেবা (এনএনএস) ও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) এটি যৌথভাবে আয়োজন করে।

সম্ভাবনাময় ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীকে খুজেঁ বের করতেই আয়োজন করা হয়েছে অনলাইনভিত্তিক পুষ্টি বিষয়ক এই প্রতিযোগিতা। এতে‍ ১১ হাজারেরও বেশি কিশোর-কিশোরী রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে। তিনটি পর্বে বিভক্ত এই প্রতিযোগিতায় প্রথম রাউন্ড শেষে ৪১৫ জনকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উত্তীর্ণ করা হয়। এর চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২৩ অক্টোবর।

এতে বিচারক প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন এনএনএস-এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. নন্দলাল সূত্রধর, বারডেম হাসপাতালের হেড অব নিউট্রিশন শামসুন নাহার মহুয়া, ওয়ান সার্ভিস ওয়ের ফেয়ার অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট- ফারিন দৌলাহ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনএনএস এর লাইন ডিরেক্টর ডা. এসএম মুস্তাফিজুর রহমান, খ্যাতিমান লেখক আনিসুল হক, গেইন-বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার, তারকা অভিনেতা আরেফিন শুভ ও সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এমএমসি) –এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর তছলিম উদ্দিন খান। 

খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কিত নানা বিষয় নিয়ে সাজানো হয়েছে প্রতিটি পর্ব। প্রথম পর্বে ছিল এমসি কিউ বা নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন। দ্বিতীয় পর্বে প্রতিযোগীরা সম্পন্ন করেছে পুষ্টি বিষয়ক ই-লার্নিং কোর্স। এতে অংশগ্রহণকারীরা পেয়েছেন প্রশংসাপত্র। কোর্স শেষ করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই পর্বে ’সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে তোমার পরিকল্পনা’ শিরোনামে কিশোর-কিশোরীরা এক মিনিটের ভিডিও বানিয়ে পাঠিয়েছে।

চূড়ান্ত পর্বে ছিল উপস্থিত পাবলিক স্পিকিং। প্রতিযোগিতার সেরা ১২ জন তাদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী ধারণা দিয়ে এই পর্বে অসাধারণ উপস্থাপনা করে। এই মূল্যায়নে মানদণ্ডে ছিল সৃজনশীলতা, উপস্থাপনা, জ্ঞান, উদ্দেশ্য ও সম্ভাবনা।

প্রতিযোগীদের উপস্থাপনার মূলত তিনটি বিষয় ছিল। বিষয়সমূহ হচ্ছে: ‘হেলদি এন্ড টেস্টি ফুডসাপ্লাই চেইন’, ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে পরিকল্পনায় ঘাটতি’ ’স্ট্রিট ফুডের ক্ষতিকর দিক এবং আমাদের করণীয়’ এবং ‘খাদ্য বিষয়ক সতর্কতা এবং বিজ্ঞানসম্মত জ্ঞান বৃদ্ধি’। সব বিচার বিশ্লেষণ ও মানদণ্ডের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে ১২ জন সেরা নিউট্রিলিডারকে নির্বাচিত করা হয়। এরমধ্য থেকে আগামী ১৫ নভেম্বর ছয় জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। 

দেশকে ভেজালমুক্ত এবং পুষ্টিকর খাবারকে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করার এই অভিযানের নেতৃত্ব দিবে এই নিউট্রি লিডাররা। এদের হাত ধরেই নতুন উদ্যমে ও আরও বড় পরিসরে এগিয়ে যাবে ‘ভালো খাবো, ভালো থাকবো নিউট্রি লিডারস হান্ট’ এর অভিযান। এই তরুণ-তরুণীদের স্বক্রিয় অংশগ্রহণ, প্রত্যয় ও স্বপ্নে বাংলাদেশে এগিয়ে যাবে আরও অনেক দূর।