নাসিক নির্বাচন

কথা রেখেছে ইসি

হাসিবুল ইসলাম মিথুন : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলে এসেছে তারা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবে। সেই কথা রেখেছে ইসি।

 

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে বাকি মাত্র দুই মাসের মতো। তাই তাদের কাছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দাবি জানিয়েছিল যে তাদের শেষ সময়ের এই নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়। ইসিও কথা দিয়েছিল যে নাসিক নির্বাচন নিয়ে কাউকেই কোনো অভিযোগ করার সুযোগ দেবে না তারা। গতকাল হয়ে যাওয়া নাসিক নির্বাচন দিয়ে তাদের সেই কথা বাস্তবায়িত হয়েছে।

 

নাসিক নির্বাচনে ১৭৪টি কেন্দ্রের ১৩৭টি কেন্দ্রই ছিল ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায়। কিন্তু কোথাও কোনো ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে পুরুষ ভোটারের থেকে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশি। তাদের কারো মুখে কোনো অভিযোগ শোনা যায়নি।

 

দেখা যায়নি প্রচার-প্রচারণায় কোনো আক্রমণাত্মক ভঙ্গি। সবাই আইন ও আচারণবিধি যথাযথভাবে মেনে নির্বাচনের সব কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন এই নির্বাচনে।

 

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশন জোর গলায় বলে এসেছে নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম হতে দেওয়া হবে না। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্বাচনে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করেছেন। এ ছাড়া ভোটের দায়িত্বে ছিলেন ইসির প্রায় ৪ হাজার কর্মকর্তা।

 

নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া প্রসঙ্গে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ রাইজিংবিডিকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রতিবার আমাদের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়। সেইভাবে এই নির্বাচনেও আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখি।

 

তিনি বলেন, এই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন জনগণকে উপহার দিতে পেরেছি। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আমরা আমাদের কথা রাখতে পেরেছি।

 

আবদুল্লাহ বলেন, আসলে আমাদের জনগণের রায় মেনে নেওয়া উচিৎ। যদি সবাই এই রায় মেনে নেয় তাহলেই নাসিক নির্বাচনের মতো কোনো নির্বাচনেই বিশৃঙ্খলা হওয়ার সুযোগ থাকে না। এই নির্বাচনের মতো পরবর্তী নির্বাচনেও যাতে সবাই জনগণের রায় মেনে নেয়, এমন আশাই আমাদের সবার থাকবে।

 

গতকাল নির্বাচন শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, মূলত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের সহযোগিতার কারণেই শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে।

 

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিবারই আমরা উদ্যোগ নেই। এবার জায়গাটা ছোট ছিল। প্রচুর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া প্রার্থীরাও সহযোগিতা করেছে।

 

১৭৪টি কেন্দ্রে সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট।

     

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ ডিসেম্বর ২০১৬/মিথুন/এসএন/ইভা