জাতীয়

‘টেকসই উন্নয়নে সাংসদদের একযোগে কাজ করা জরুরি’

সংসদ প্রতিবেদক : টেকসই উন্নয়নে বিশ্বের সব দেশের সংসদ সদস্যদের একযোগে কাজ করা জরুরি। আর এর মাধ্যমেই অর্জিত হতে পারে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা।

 

সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনস্থ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ভবনের প্রেসটন অডিটরিয়ামে পার্লামেন্ট নেটওয়ার্ক অন দি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক অ্যান্ড আইএমএফ আয়োজিত ‘গ্লোবাল পার্লামেন্টারি কনফারেন্স জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড উইমেন্স  রাইটস অন দ্য পোস্ট’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ মন্তব্য করেন। সংসদ সচিবালয়ের জনসংযোগ পরিচালক মঞ্জুর আহমেদ এক প্রেসবার্তায় এ তথ্য জানান।

 

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নসহ সমগ্র পৃথিবীর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পার্লামেন্টারি নেটওয়ার্ক, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ পৃথিবীর সকল দেশের সংসদ সদস্যদের একযোগে কাজ করতে হবে।’ তিনি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে উন্নয়নের অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে  সকল দেশের সংসদ সদস্যদের একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

 

তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক উন্নয়নের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পর এ সকল উন্নয়নকে টেকসই রূপ দিতে হবে।’

 

শিরিন বলেন, ‘জনগণের ক্ষমতায়নের মূল ভূমিকা সংসদ সদস্যরাই পালন করে। পবিত্র সংবিধানের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সংসদকে সকল সমস্যা সমাধানের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে হবে। বিশ্বজুড়ে হতদরিদ্রদের মধ্যে নারী অন্যতম। নারী প্রধান পরিবারে দুর্গতি সমধিক। নারীর দুঃখ-দুর্দশা মোচনে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে। নীতিমালার এই পরিবর্তনে জেন্ডার সংবেদনশীলতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। শ্রমবাজারে নারীদের উপযুক্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সকল কর্মকা-ে নারীদের জন্য সমতাভিত্তিক সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের অবারিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সমাজ থেকে সকল প্রকার শোষণ ও বৈষম্য দুর করে, লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে- এমন নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে, যার সাহায্যে আগামী দিনে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হয়।

 

স্পিকার বলেন, ‘শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা শুধুমাত্র নীতিমালা, অর্থনৈতিক নীতিমালার মধ্যে থাকলেই চলবে না। জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট তৈরির মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে জেন্ডার সমতা সৃষ্টি করতে হবে।’

 

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ১০০টি দেশের  উপস্থিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি, মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, সানজিদা খানম এমপি উপস্থিত ছিলেন।  

     

রাইজিংবিডি/১৩ এপ্রিল ২০১৫/নাগ/সুমন