জাতীয়

তারকায় গ্রহণ || চিন্ময় মুৎসুদ্দী

ঢাকার চলচ্চিত্রের তারকা বললে এখন অনেকের নাম বলতে হয়। শাকিব খান, অপু বিশ্বাস নির্মাতাদের প্রধান চাহিদা। তার মানে এই নয় যে, ওরাই কেবল তারকা। আশির দশকে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে আসা মৌসুমী এখনও তারকার মর্যাদা নিয়ে রয়েছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং সামাজিক সেবামূলক কাজেও জড়িত তিনি। তার আগে আসা শাবনূর অনেকটা স্বেচ্ছায় বিদায় নিয়েছেন। ষাটের দশকের শাবানা ইমেইজ ও অভিনয় রীতি অনুসরণ করে দীর্ঘ দুই দশক দাপটের সঙ্গে চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজকদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন। সন্তান স্বামী নিয়েই সময় কাটছে এখন তার। তবে মিডিয়া খবর দিয়েছে, একটু একটু অভিনয়ের জন্য তার প্রাণ আনচান করছে। ফিরে এলে তারকা মূল্য কতটা হবে বলা মুশকিল! এদের সমসাময়িক পপি বরাবরই মধ্যস্তরে থেকে ভালো অভিনেত্রীর সুনাম কুড়িয়েছেন। মান্নার অকাল মৃত্যু শাকিবের দুয়ার খুলে দেয়। অঞ্জুর বিদায়ে অপু এসে অবয়বে অঞ্জুর আদল নিয়ে স্বল্প সময়ে তারকার আসন নিশ্চিত করেন। নতুন শতকে পা দেওয়া জয়া আর তিশা এখন সেরাদের অবস্থানে আছেন। সুঅভিনয় ও সামাজিক কর্মতৎপরতার কারণে হালের আলোচিত তারকা তারা। বহুমাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে নিজেদের ভিত শক্ত করেছেন। সামাজিক ছবির যে কোনো চরিত্রে নিজেদের মানানসই করতে সক্ষম তারা। তাদেরই সমসাময়িক মম নিম্মমধ্যবিত্ত পরিবারের মননশীল তরুণীর চরিত্রে নিজেকে সার্থক করে প্রথম ছবি ‘দারুচিনি দ্বীপ’-এ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে নেন।  কিন্তু নিজের গেট-আপ পুরোটা পাল্টিয়ে এখন তিনি উচ্চবিত্তের গ্ল্যামার কন্যা হওয়ার বাসনায় আক্রান্ত। এখানে তিনি খুব একটা সফল হবেন বলে মনে হয় না, যদি দক্ষ পরিচালকের হাতে এ রকম একটি চরিত্রে সফল হতে না পারেন।  ভারতের জয়া ভাদুড়ি-ও তার মধ্যবিত্ত নারীর ইমেজ বদলাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে পর্দায় মধ্যবিত্ত চরিত্রই আঁকড়ে থেকেছেন। মম’র উচিত হবে বিষয়টি ভেবে দেখা।

তাদের পরের সারির এক ঝাঁক নতুনদের মাঝে আলাদা হয়ে উজ্জ্বল হয়েছেন মাহিয়া মাহি। আর নতুন করে উঠে আসছেন পরীমনি। বাকিরা আসছেন যাচ্ছেন কিন্তু প্রভাব বিস্তার করতে পারছেন না। ওদিকে ফেরদৌস তার নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করে নিয়েছেন। কলকাতায় শিকে ছিড়েছে তার। এখন অবশ্য ঢাকায়ও কিছুটা ব্যস্ততা আছে। অনন্ত জলিল আছেন নিজের জগৎ নিয়ে। অনেকটা স্বআরোপিত তারকা। আলোচনায় আছেন কিন্তু ছবির জগতে সীমিত। চঞ্চল, মিলন,এবং তাদের পরে নিলয় উদিত হয়েছেন। প্রথম দুজন পেশাজীবন বিস্তৃত করেছেন। শেষোক্তজন তাল মেলাবার স্তরে এখন, অপেক্ষা করতে হবে তারকা আসনটির জন্য। ‘তারকা’ আসলে বাণিজ্যিক শব্দ, এবং ক্রেতা নিয়ন্ত্রিত। ক্রেতার মনোভাব বা মনোবিকলন গভীর পর্যবেক্ষণ করে তারকার মাত্রা নির্ধারণ করে ইন্ডাস্ট্রির বণিক সম্প্রদায়। এ মাত্রা অবশ্যই কড়ির মানদন্ডে। এই উপমহাদেশের মাড়োয়ারিদের ভাষায় এরা ‘ইন্ডাস্ট্রি গার্ল’ বা হিরোইন ও হিরো। তারকা কথাটি এসেছে ইয়োরোপীয় চেতনা থেকে। কেউ কেউ বলেন ওরা তারকা হবেন কেন? এ রকম প্রশ্নের মাঝেই ওরা তারকা বলে চিহ্নিত। ওরা অর্থাৎ চলচ্চিত্র জগতের খ্যাতিমান নারী-পুরুষেরা। হলিউড কিংবা ভারত, ফ্রান্স কিংবা ইটালি সর্বত্র তাদের বিচরণের ধরনে যেমন মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তেমনি তাদের পরিচয়-ও এক গ্রন্থিতে যেন বাঁধা- ওরা তারকা। ওরা উদিত হয়, বিলীন হয়। আবার পূর্ণ উদয়ে গ্রহণ হয়। ঢাকার চলচ্চিত্রের পুরনো দিনের দিকে একবার ফিরে দেখা যাক। এখানে এক অর্থে প্রথম তারকা রহমান। তিনি ঢাকার ছবিতে উত্তমকুমার, বিশ্বজিৎ প্রমুখের অবয়ব নিয়ে আসেন। ‘হারানো দিন’র পর ‘চান্দা’ ছবির ব্যাপক সাফল্য এবং জুটি হিসেবে শবনম’র উপস্থিতি রহমানকে দিল তারকার স্থায়ী মর্যাদা। এরপর ১৯৬৭ সালে আনোয়ার হোসেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে সাফল্য এবং তারকা মর্যাদা লাভ করেন। পরে তার সঙ্গে এসে সফল জুটি গড়লেন রোজী। এই জুটি মূলত ছবির কেন্দ্রবিন্দু নায়ক নায়িকার পাশাপাশি প্রধান চরিত্র হিসেবে দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তোলে। ষাটের দশকের শেষ কয়েক বছর এবং সত্তর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত আনোয়ার হোসেন ও রোজী ছাড়া খুব কম ছবি নির্মিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে রোম্যান্টিক নায়ক বা নায়িকা না হয়েও এরা ঢাকার ছবির তারকা। রোজী অল্প বয়সে যে তারকা খ্যাতি পাননি পরে তা অর্জন করে নেন। সেই সঙ্গে দর্শক ও বাজারদরও।  সুমিতা দেবী প্রথম দিকের তারকা। সুলতানা জামান, রওশন আরাকে ছাপিয়ে তিনি ওপরে উঠে আসেন। তার পরে তাক লাগানো অবয়ব নিয়ে তারকা খ্যাতি পেয়ে যান শবনম ‘হারানো দিন’, ‘চান্দা’ ও ‘তালাশ’ দিয়ে। শবনমের উত্থান সুমিতা দেবীকে কিছুটা দূরে ঠেলে দেয়। সুমিতার ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনাবলিও তাকে তার ঈপ্সিত লক্ষ্য  হাসিল করতে দেয়নি। জহির রায়হানের সঙ্গে বিয়ের কারণেও তাকে দূরে সরে যেতে হয়। সুলতানা জামান চিত্রগ্রাহক কিউ এম জামানের স্ত্রী হিসেবে চিত্রজগতে থেকেই একটা দূরত্ব রচনা করেন। এখানেই প্রথম যুগের সমাপ্তি ঘটে বলা যায়। এ সময়টা ছিল স্বরূপ অন্বেষার। আত্মজিজ্ঞাসার। কিন্তু বাংলা ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্রের ভঙ্গিতে লাহোর করাচির অনুকৃতি ছাড়া কিছ থাকল না। অভিনেতা অভিনেত্রী কলা-কুশলী সবাই লাহোর করাচির অনুগ্রহভাজন হবার বাসনায় ছিলেন উন্মুখ। আর এ দশকই ছিল বাংলাদেশের মানুষের স্বরূপ অন্বেষা ও আত্মসচেতনতার দশক। এই দ্বন্দ্ব ছিল চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চিরন্তন মধ্যবিত্ত দর্শকশ্রেণির মধ্যে।

এখানে একটা বিষয় লক্ষণীয়, ষাট দশকের মধ্যভাগেও ঢাকায় দুই শ্রেণির দর্শক ছিল। এক শ্রেণির স্বপ্নের দেব দেবী ছিল উত্তম ও সুচিত্রা, আর অন্য শ্রেণির মধুবালা-নার্গিস-দিলিপ কুমার। দ্বিতীয় শ্রেণির দর্শকদের পরিপূরক হলো নিলো-ওয়াহিদ মুরাদ কিংবা শবনম যখন ভারতীয় ছবি বন্ধ হলো। ভারতীয় ছবির বদলে একই ভঙ্গীতে করাচি লাহোরে ছবি তৈরি শুরু হলো। কিন্তু প্রথম শ্রেণির দর্শকদের জন্য ‘হারানো সুর’ বা ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’ এর ধারায় কেউ ‘ধারাপাত’ কেউ ‘সুতরাং’ নিয়ে ছোট একটি বাজর নির্মাণ করলেন। তৈরি হলো গুটিকয় নিষ্প্রভ তারকা। গন্ডি গড়ে উঠলো  ছোটখাটো আলোচনার। এ সময় অবজারভার ভবন থেকে বের হয়েছে ‘চিত্রালী’। নাম শোনা গেল সুজাতা, কবরী, রোজী, চিত্রা সিনহা প্রমুখের। কবরী প্রথম অভিনেত্রী, যিনি প্রথম ছবি থেকেই জনপ্রিয়। ‘সুতরাং’-এর সুহাসিনী ও সতেজ বালিকার বিয়োগান্তক কাহিনি চিরন্তন বাঙালি পাঠকদের মন জয় করে নিল। সুজাতা আসেন ‘ধারাপাত’ ছবির মাধ্যমে। কিন্তু সাফল্য পেয়েছেন দু’বছর পর। ইতিমধ্যে ছবির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আরো নতুন মুখ দেখা দিল যেমন রোজী, হারুণ, খলিল, চিত্রা সিনহা, আজিম প্রমুখ। এদের সঙ্গেই সুজাতার খ্যাতি ‘রূপবান’ ছবির সাফল্যের মাধ্যমে। কিন্তু ব্যাপক জনপ্রিয়তা, স্থায়ীত্ব ও তারকা মর্যাদা পেলেন শুধু কবরী। চিত্রা সিনহা খুব বেশি ছবিতে অভিনয় করতে পারেননি। সাফল্য পেলেও পরিচালক কাজী জহিরের সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হয়ে তিনি অভিনয় ছেড়ে দেন। হারুণ জনপ্রিয়তা ও  একের পর এক ছবি পেলেও পারিবারিক কারণে চিত্রজগৎ ছেড়ে দেন। আজিম চালিয়ে গেলেন প্রায় পাঁচ বছর। ইতিমধ্যে আরো অনেকে এসে পড়েন আরো বেশি সাফল্য নিয়ে; বিশেষ করে রাজ্জাক। এই সময় আজিমকে বিয়ে করে সুজাতা পতনের সিঁড়ি বেয়ে নামতে শুরু করেন। শুরু হওয়ার আগেই তিনি প্রায় নির্বাসিত হন। নায়িকা চরিত্রে কবরীর সমসাময়িক হলেও শাবানার আবির্ভাব ঘটে সবার আগে ১৯৬০ সালের দিকে। কবরী প্রথম ছবিতেই নায়িকা হয়ে আসেন ১৯৬৪ সালে। বলতে গেলে এক নাগাড়ে দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি চিত্রজগৎকে প্রভাবিত করেছেন। যখন বিদায় নেন তখনও তিনি নায়িকা। সফল হন গ্রামের কিশোরী-তরুণী চরিত্রে। কয়েকটি শহুরে চরিত্রে দেখা গেলেও ব্যর্থ হয়েছেন সেখানে। অভিনেত্রী হিসেবে বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী তিনি। প্রথম ছবিটি-ই বিদেশে বিশেষ পুরস্কার পায়। বাংলা ছবির ‘মিষ্টি মেয়ে’ বলে খ্যাতি পেয়েছেন দেশে। কিন্তু ‘বাহানা’ ছবির নির্মাণকালে জহির রায়হানের সঙ্গে বিয়ের গুজব, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আই এস জোহরের হাত ধরে বম্বের চিত্রজগতে ভাগ্য পরীক্ষায় চরম ব্যর্থতা, চিত্ত চৌধুরীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, রাজ্জাকের সঙ্গে পরম বন্ধুত্ব ও রাগারাগি, ব্যাংককের ব্যস্ত সড়কে কপর্দকহীন চিত্ত চৌধুরীর মৃতদেহ পড়ে থাকা, বাবু সারোয়ারের সঙ্গে বিয়ে ও বিচ্ছেদ, প্রথম সন্তানের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে মামলা, আওয়ামী লীগে যোগদান ও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া, পরের বার মনোনয়ন না পাওয়া, ঘনিষ্ঠ আলোকচিত্র সাংবাদিক মনোয়ার আহমেদ এর (কবরীর বিরুদ্ধে) ফটোগ্রাফ জালিয়াতির অভিযোগ ব্যক্তি কবরীকে কতটা সুখী রেখেছে সেই হিসেব কবরীর। আমরা জানি ৬০ থেকে ৭০ দশকের ঢাকার বাংলা ছবির দর্শকরা মনে রেখেছেন মিষ্টি মেয়েটিকে। সংসদ সদস্য বা রাজনীতিক সারা বেগম কবরীকে নয়।  সুচন্দা এলেন কবরীর পরে। প্রথম ছবি ‘কাগজের নৌকা’য় সরাসরি নায়িকা। দ্বিতীয় ছবি ‘বেহুলা’-ও হিট। প্রথম ছবিতে নায়ক ছিলেন আখতার ও হাসান ইমাম। কিন্তু ‘বেহুলা’র সাফল্যে রাজ্জাকের উত্থান হওয়ায় আখতার ও হাসান ইমাম নায়কের অবস্থান ধরে রাখতে পারেননি। সুচন্দা তিন বছরের মাথায় জহির রায়হানের দ্বিতীয় স্ত্রী হয়ে চিত্রজগৎ থেকে ছিটকে পড়েন। শাবানা নায়িকা হন চিত্রজগৎ-এ আসার অনেক পরে। চলচ্চিত্রে সিনিয়র হয়েও তার নাম ছিল রত্না। এই নামে বিভিন্ন ছবিতে নাচতেন বা ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করতেন। এহতেশাম ভাগ্য ফিরিয়ে দিলেন রত্নার। শাবানা নাম দিয়ে ‘চকোরি’ ছবির নায়িকা করে তাকে শীর্ষস্থানে তুলে দেন। ২২ বছর দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে সন্তানের আচরণে বেদনাক্লিষ্ট হয়ে আচমকা চিত্রজগৎ ছেড়ে দেন। তখনও তার প্রভাব বলয় অক্ষুন্ন ছিল, কিছুটা পতনের আভাস পাওয়া গেলেও। রাজ্জাকের পাশাপাশি উজ্জ্বল, সোহেল রানা, জাফর ইকবাল, কিছুটা পরে ইলিয়াস কাঞ্চন, আলমগীর ছিলেন তারকা পরিচিতি নিয়ে, কিন্তু রাজ্জাক থেকে অনেক দূরে। আরো পরে সালমান শাহ, মান্না দোদীপ্যমান হলেও রাজ্জাকের স্থানে যেতে পারেননি কেউ। অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন তারা নায়ক চরিত্রে, বিত্ত গড়েছেন, তবে সময়ের উর্ধে গিয়ে দীর্ঘকালীন কোনো অবদান রেখে যেতে পারেননি। সালমান এবং মান্না দু’জনেরই অকাল মৃত্যু ঘটে। অন্যরা সময়ের বিবর্তনে অলক্ষে বিদায় নিয়েছেন, গ্রহণের কবলে পড়েছেন।ববিতা আসেন নায়িকা হয়ে ৭০ সালে। প্রথম নাম সুপর্ণা। তার মধ্য দিয়ে জহির রায়হান তারকালোকে আনলেন গ্ল্যামার। চেয়েছিলেন অলিভিয়া ও ওমর চিশতি দিয়ে শুরু করবেন। কিন্তু পারিবারিক জটিলতায় অলিভিয়াকে বাদ দিয়ে আনলেন ববিতাকে। ববিতার তারকা খ্যাতি মূলত দেশ স্বাধীন হওয়ার পর। সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে অভিনয়ের পর পর ববিতা তারকা-ব্যক্তিত্বের মর্যাদা লাভ করেন। স্বাভাবিক নিয়মে আস্তে আস্তে খসে পড়েছেন তিনি। নায়িকা নেই এখন। কিন্তু তারকা খ্যাতির আলোকে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ববিতার পরে রোজিনা আর অঞ্জু দীর্ঘসময় ধরে তাদের চাহিদা উচ্চমার্গে রাখতে সক্ষম হন। বড় বড় তারকাদের পাশাপাশি শুকতারাও দেখা গেছে অনেক। নূতন, কবিতা, অঞ্জনা, কাজরি, জুলিয়া অভিনয় বা গ্ল্যামার নিয়ে থেকেছেন। কিন্তু তারকা মূল্য জোটেনি বললেই চলে। এ তারকার জগতে স্থান বদল হয় বছরান্তে বা যুগান্তরে। এক তারকার গ্রহণ হয় নতুন তারকার আবির্ভাবে।

লেখক : চলচ্চিত্রবোদ্ধারাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ জুলাই ২০১৫/তাপস রায়