জাতীয়

গানবৃন্দ || পিয়াস মজিদ

                     

অস্থায়ী সাপের তনুময় বিষের মাদল চন্দ্রলুণ্ঠনেও  রাত্রিস্নাত জ্যোৎস্নাহত ঝর্ণা রুদ্ধ সন্ধ্যার ফাঁসে।সুদূরের ঐ শ্রেণীবাঁধা পাহাড় টিলারক্তে শোভিত আমি; ঠাঁই দাও তোমার নাটের মণ্ডলে।নিদ্রাসুরে জাগরণ বোবা গায়িকার অন্ধ বনানীছায়া সমুদ্রবধিরে মৃত জলের মালিকায় অগ্নিগিরিগোলাপজোয়াল কাঁধে দাউ দাউ নীলিমা;পরি লুপ্ত সেই মন্দ্র ভূততায় অন্তরা প্রতিখ্রিস্টে মুখর রাতমরণের অধরা ফাঁস বৈজয়ন্তী উড়ে; শত রসাতলের। তোমার সুরভি গুপ্ত কঙ্কালের উপশিরায়।লুপ্ত রাজার উপপত্নীরা গোলাপজুড়ে পায়চারি করে,উদ্বাস্তু তারানায় ভেসে যায় সব সুনিকেত মল্লার। রক্ততরুর লতাপাতায় ঘনিয়ে আসি আমিউত্তর-দক্ষিণ যত বসন্তক্ষয়ের অনন্তকল্যাণধীর সবুজে সন্ধ্যা ফুটে; তোমার অপ্রেমময়সঞ্চারীঅস্ত্রের সুর রাহুর তান দিগন্তভাসা হ্রদ হারানো বোনের ঢেউ; কিন্নরীরক্তে বেজে ওঠে নহবত। বেণিখোলা জল সমুদ্র পড়ে থাকেতারাগামী সব তরঙ্গমুকুট।তোমার পায়ের পানেনশ্বরতা, কাকাতুয়া ,সুদূরবয়ে যায় বিকেলবাহী অগ্নিঅধোমুখী ঐ নিরালা চাঁদডাইনিধারায় পরিরা নামে নুপূরের অপমরণ;শীতল-গোলাপতম দিন।আভোগ আমার ফুলে ফিরোজা প্রেতালয় দক্ষিণে বেনোঅগ্নি;জল যায় ভেসেনীলিমাই মৃদঙ্গ। পাতালে বাজে সিদ্ধি, নেচে যায় কফিন। মধুর জনন-ফোঁটা বিষের তরঙ্গ আর মরণে প্রদীপিত কেউ ঝর্ণার প্রবাহিত ক্ষতে সাপেরা পাপড়িময়।আস্তাবল; পউষ এলো যুবরাজকুয়াশার হ্রেষা শুষেসোনালি শত তমসা জ্বলেরাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জুলাই ২০১৫/তাপস রায়