জাতীয়

লঞ্চে দাঁড়িয়ে, ভিজে ফেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : লঞ্চে ঢাকায় ফিরতি যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় শনিবারও দেখা গেছে। যাত্রীদের কেউ কেউ বলছেন, যারা লঞ্চে যাতায়াত করেন, ঈদের ছুটি শেষে তাদের মধ্যে ঢাকায় ফেরার শেষ দিন এই শনিবার। তাই উপচে পড়া ভিড়।শনিবার সদরঘাটে গিয়ে লঞ্চের ভেতরে, বাইরে এবং ছাদে গাদাগাদি ভিড় দেখা গেছে। সকাল থেকে বেলা ১০টার মধ্যে শতাধিক লঞ্চ সদরঘাট টার্মিনালে এসে ভিড়েছে। প্রতিটি লঞ্চেই যাত্রীসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি দেখা গেছে। লঞ্চের ভেতরে জায়গা না পেয়ে অনেকে ডেকে ও ছাদে সারা রাত দাঁড়িয়ে এসেছেন। বৃষ্টিতে ভিজেই এসেছেন তারা।সদরঘাটে লঞ্চযাত্রীদের অনেকেই বলছেন, লঞ্চের ভেতরে গাদাগাদি করে কষ্ট করার চেয়ে ছাদে থাকা অনেক ভালো। সময়ে সময়ে বৃষ্টি এলেও ভালো লেগেছে।তুহিন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ভাই বৃষ্টিতে ভিজে এসেছি। ক্ষতি নেই। অফিস তো করতে পারব। শুক্রবার সকালে বরিশালে লঞ্চ মিস করেছি। আর রাতে লঞ্চ ধরতে না পারলে আজ আসাই হতো না।’লাভা নামে আরেক যাত্রী পটুয়াখালী থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার থেকে কোনো লঞ্চে উঠতে পারিনি। লঞ্চগুলো কয়েক দিন অতিরিক্ত যাত্রী তুলে ছেড়েছে। শুক্রবারও অনেক বেশি যাত্রী ছিল। তারপরও আসতে হয়েছে। খুব কষ্ট হয়েছে। শেষমেশ ভালোভাবে ঢাকায় ফিরলাম, এটাই শান্তি।’তিনি আরো বলেন, ‘দাঁড়ানো যাত্রীদের কাছ থেকে যে ভাড়া নেওয়া হয়েছে, ঈদ ছাড়া অন্য দিনগুলোতে তার অর্ধেক দিয়ে যাতায়াত করা যায়। যাত্রীরা অসহায়, কিছু করার নেই।’সদরঘাট নৌ বিভাগের কর্মকর্তা আরিফুল সাজ্জাদ জানান, ঈদে যেসব যাত্রী লঞ্চে করে বাড়ি গেছেন, তাদের ঢাকায় ফেরার পালা প্রায় শেষ। ৯৫ শতাংশ লোক ঢাকায় চলে এসেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন যারা আসবেন তাদের সংখ্যা হবে অপেক্ষাকৃত কম। এবার ঈদে লঞ্চযাত্রায় তেমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। নৌ বিভাগের কর্মদক্ষতা এবং কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করায় এটি সম্ভব হয়েছে।বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক পরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানান, শনিবার সকালে ১১০টি লঞ্চ এসেছে। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। রোববার থেকে এ রকম ভিড় আর থাকবে না বলে আশা করা হচ্ছে। এখন লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। তবে এতসংখ্যক লঞ্চ চলাচল করবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

     

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জুলাই ২০১৫/জিসান/শাহনেওয়াজ/এএন