জাতীয়

শিশু হত্যার দায় পুনরায় স্বীকার করলেন পিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারে চাঞ্চল্যকর ২৫ দিনের শিশু আবদুল্লাহকে হত্যার দায় পুনরায় স্বীকার করলেন পিতা ফজলুল হক। হত্যাকাণ্ডে দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

 

বুধবার দুপুরে ঢাকার বিচারিক হাকিম (জেএম) শাহিনুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে ফজলুল হক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

 

জবানবন্দি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে আগে থেকেই ইচ্ছা প্রকাশ করায় আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন মনে করেননি রাষ্ট্রপক্ষ।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমদিকে ফজলু হত্যাকাণ্ডের দায় তার ফুপু শাশুড়ির ওপর চাপানোর চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের কাছে নিজের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়ায় মামলাটির দ্রুত বিচারের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো।

 

রক্তে সংক্রমণ ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত চারদিন বয়সের শিশুটিকে গত ৬ জুলাই এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার প্রাক্কালে ২৭ জুলাই বাবার হাতে প্রাণ গেল শিশুটির। এখন স্বাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হবে।

 

ফজলুল হক তার জবানবন্দিতে বলেন, কারো প্ররোচনায় কিংবা সহযোগিতায় নয়, তিনি নিজেই পরিকল্পনা করে হত্যা করেছেন ২৫ দিনের শিশু সন্তান আবদুল্লাহকে। বাক প্রতিবন্ধী স্ত্রীর মতো নবজাতক সন্তানটিও প্রতিবন্ধী হতে পারে এ আশঙ্কায় শিশুটিকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

 

২৭ জুলাই ফজরের আজানের পর পর মায়ের কোল থেকে ঘুমন্ত শিশুটিকে তুলে হাসপাতালের সাততলা ভবনের ৭১৬ নম্বর কেবিন থেকে ছুঁড়ে ফেলে হত্যা করেন শিশুটিকে। পরে ঘটনার দায় শিশুটির নানির পর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বলে আদালতকে জানান ফজলুল হক।

 

এ ঘটনায় ফজলুল হকের বিরুদ্ধে হত্যা ও মরদেহ গুমের অভিযোগ এনে শ্বশুর নুর ইসলাম বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

       

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জুলাই ২০১৫/আজাদ/নওশের