জাতীয়

বাস থামিয়ে হত্যা : পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ :  ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার মাহমুদপুরে হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাস থামিয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে। হত্যাকাণ্ডের ১৫ ঘণ্টা পার হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। তাই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

 

এদিকে নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।

 

অন্যদিকে ব্যবসায়ী নিহতের প্রতিবাদে ও শোক প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু সড়কে নগরীর চাষাঢ়ায় প্যানোরামা প্লাজা বন্ধ রাখা হয়েছে।

 

সোমবার রাত পৌঁনে ১০ টার দিকে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম ঢাকা থেকে উৎসব পরিবহণের একটি বাসে নারায়ণগঞ্জ ফিরছিলেন। পথে মাহমুদপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাসের গতিরোধ করে। কয়েকজন দুর্বৃত্ত বাসে উঠে নুরুল ইসলামকে বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে একটি গুলি করে তার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় নুরুল ইসলামকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০শয্যা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বোমার বিস্ফোরণে বাসটির গ্লাস ভেঙ্গে যায়।

 

হত্যাকাণ্ডের ১৫ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও পুলিশ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক বা হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। এমন কি পুলিশ বিষয়টি জানতে নিহতের বাড়িতেও যায়নি অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা। তাই নিরাপত্তা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

 

নিহতের স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে মোবাই ফোনে স্বামীর সঙ্গে শেষ কথা হয় তার। তিনি তখনো জানতেন না তার স্বামী আর বাড়ি ফিরবে না।

 

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, নিহত ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর রেল স্টেশন এলাকার হাজী হানিফার ছেলে। পুলিশ রাত থেকেই হত্যাকারীদের সনাক্তের চেষ্টা করে আটকের লক্ষে অভিযান চালাচ্ছে।

 

নিহতের পরিবারের ক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাতেই নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আজ দুপুরে লাশ মর্গ থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে, লাশের সঙ্গে পুলিশও ঘটনাস্থলে গেছে।’  

     

রাইজিংবিডি/নারায়ণগঞ্জ/৪ আগস্ট ২০১৫/হাসান উল রাকিব/রুহুল