জাতীয়

কুষ্টিয়ায় গুলিবর্ষণকারী যুবক পুলিশে ছিলেন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া শেষে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বহিষ্কৃত নেতা মোমিনুর রহমান মোমিজের সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় মোমিজ গ্রুপের একজন নিহতসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। তবে হতাহতের ঘটনা নিয়ে যতটা না তোলপাড়, তার চেয়ে বেশি তোলপাড় এক যুবকের গুলিবর্ষণের ঘটনা নিয়ে।

 

কালো পাঞ্জাবি, সাদা পাজামা পরিহিত এক যুবক ফিল্মি স্টাইলে দফায় দফায় গুলি চালাচ্ছিলেন। আর গুলি চালানোর ওই চিত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে শুধু কুষ্টিয়ায় নয়, দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি হয়।

 

কে এই যুবক? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি পুলিশের এএসআই ছিলেন। দেড় বছর আগে রাজধানীর কাফরুল থানায় কর্মরত অবস্থায় ঘুষ লেনদেনের কারণে বরখাস্ত হন। নাম আনিসুর রহমান আনিস। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঢাকা ঝালুপাড়া গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেন মন্ডলের ছেলে। বরখাস্তের পর থেকে তিনি কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন।

 

শনিবার তিনি মোমিজের সমর্থক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে আসেন।

 

জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তা আনিস মোমিজের চাচাতো বেয়াই এবং প্রতিবেশী। এ ছাড়া কুষ্টিয়া চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি জাহিদুল ইসলাম লতিফের ভাতিজা। আর আনিসের দুই পাশে যে দুই যুবক তাকে সহযোগিতা করছিলেন, তারা হলেন- বাঁয়ে মিজান এবং ডানে ফিজু। এরা সম্পর্কে আপন দুই ভাই। বাড়ি ঝালুপাড়া গ্রামে। দুজনই মোমিজের বিশ্বস্ত সমর্থক। তবে এ ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন আনিস। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারে হন্যে হয়ে খুঁজছে।

 

এদিকে ঘটনার পর পুলিশ শহর ও ঢাকা ঝালুপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। শনিবার রাতে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রোববারও তিনি আবার পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।

     

রাইজিংবিডি/কুষ্টিয়া/১৬ আগস্ট ২০১৫/কাঞ্চন কুমার/রুহুল/এএন