জাতীয়

১০ বছরের আগেও বিয়ে!

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১০ বছরের আগেও কিছু কিছু শিশুর বিয়ে হচ্ছে বলে জানিয়েছে গবেষণামূলক সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বিবাহযোগ্য বয়স এবং শিশুবিবাহ : বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক গবেষণা ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গবেষণা চালিয়ে এসব তথ্য দেয়।সংবাদ সম্মেলনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, যেসব এলাকায় এই গবেষণা চালানো হয়েছে, সেসব এলাকায় শিশুবিয়ের গড় বয়স ১৫ দশমিক ৫৩ বছর। এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষই মনে করে ১১ অথবা ১২ বছর আগে বিয়ে হলে তা হবে শিশুবিয়ে। এই সব এলাকার শিশুবিয়ের প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা, দারিদ্র্য এবং সামাজিক রীতিনীতি (ভালো বর, যৌতুক, পুরুষের পছন্দ কম বয়সি মেয়ে)।তিনি বলেন, শিশুবিয়ের শিকার মেয়েদের মধ্যে শতকরা ৬৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ ভাগ ছাত্রী, শতকরা ২৪ ভাগের বেশি ঘরের কাজ করে, আর ১১ দশমিক ৬৩ ভাগ আয়মূলক কাজে নিয়োজিত। এসব এলাকার অধিকাংশ অভিভাবক মনে করে ১৪ থেকে ১৫ বছর মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।মাত্র দেড় শতাংশ শিশুর বিয়ে হয় বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক অথবা পালিয়ে যাওয়ার কারণে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া ও বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের বেশ কিছু ঘটনা দেখা গেছে ১৬ বছর বয়সের বেশি মেয়েদের মধ্যে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহানাজ হুদা বলেন, সবচেয়ে আশঙ্কাজনক ব্যাপার হচ্ছে গবেষণা এলাকার প্রায় সবাই মনে করে সরকার ইতিমধ্যে বিয়ের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করে ফেলেছে। অনেকে ১৬ বছরের মেয়েকে ১৮ বানিয়ে বিয়ে দেয়। এই জন্য মিডিয়াকে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। তারা মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে পারে।সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি নারীনেত্রী আয়শা খানমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫/মামুন/দিলারা/এএন