জাতীয়

সদরঘাটে উপচে পড়া ভিড়, যানজটে নাকাল যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ (মঙ্গলবার) ঘরমুখি মানুষের উপচে পড়া ভিড় হয়েছে সদরঘাটে। সকাল থেকে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ছিল যাত্রীদের ভিড়ে ঠাসা। তবে ঘাটে পৌঁছতে তীব্র যানজট ও কাদা পানিতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সদরঘাট টার্মিনাল ছেড়ে যাওয়া হুলারহাট, পিরোজপুর, ভাণ্ডারিয়া, শরীয়তপুর, বরগুনা, ভোলা, চরফ্যাশন, দুমকি, আমতলীসহ বেশ কয়েকটি রুটের লঞ্চে ছিল যাত্রী বোঝাই। যাত্রীদের চাপে নির্ধারিত সময়ের আগে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এছাড়া বরিশালগামী প্রত্যেকটি লঞ্চেও দেখা গেছে একই চিত্র। টার্মিনাল এলাকায় বিকেলে গিয়ে দেখা গেছে, টার্মিনালে প্রবেশের সড়কপথে রায়সাহেব বাজার, তাঁতীবাজার, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় দীর্ঘ যানজট।পিরোজপুরগামী লঞ্চের যাত্রী সুন্দর আলী বলেন, লঞ্চের ডেকে জায়গা নেওয়ার জন্য সকাল ১০টায় মিরপুর থেকে চলে এসেছি। লঞ্চ ছাড়ার কথা সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। যানজটের কারণে বংশাল মোড় থেকে সদরঘাট আসতে সময় লেগেছে ঘণ্টা খানেক।পটুয়াখালীগামী লঞ্চের যাত্রী শরিফুল ইসলাম বলেন, লঞ্চ ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে। যানজট এড়াতে বাড্ডা থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বেলা দুইটায় চলে এসেছি। তারপরেও যানজটে পরতে হয়েছে আমাদের।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ)এক কর্মকর্তা জানান, টার্মিনালে আসার পথ যানজটমুক্ত রাখতে একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু  সড়কে যানজট রয়ে গেছে।

 

তিনি আরো জানান, নির্ধারিত লঞ্চ ছাড়াও অতিরিক্ত ২০-২৫টি বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রী চাহিদার ওপর নির্ভর করে বিশেষ লঞ্চ ছেড়ে যাবে। টার্মিনাল এলাকায় যাত্রী হয়রানি এবং লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল পরিবহণ রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালাচ্ছে।

     

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/নাসির/উজ্জল