জাতীয়

এক পশলা বৃষ্টির ছোঁয়া

                     

|| বিলাস দাস ||তোমারই প্রতীক্ষায় ছিলাম দিবা-নিশিএ জানালার পাশে, সেই রঙের আবেশে,কাঁদলে কেন?এই বৃষ্টি তুমি কি হাসতে জানো না,তুমি কি পারতে না এক চিলতে রঙধনু হয়ে আমায় ছুঁয়ে দিতে,কেন? কখনও দেখনি মেঘের ফাঁকে চাদের ফোকলা হাসি,শুধুই এক পশলা হাসি আর তোমার ঝঙ্কার শুনতে-আমি যে এ জানালায় সঙ্কল্পময়ী এক রমণী,তাই তো সব ভুলে আকাশের পানে তাকিয়েনীরবে রয়েছি এ কোণে দাঁড়িয়ে; তবুও তুমি;কেন ভেজালে আমায়?সেই শৈশবের বেলা,পাঠশালার পথের ছলা-কলাআধো যৌবন শিখায়, তোমারে পাওয়া ছিল দায়,তবুও ভিজেছি তোমার অঝোর ধারায়,সমাজ,বিপত্তি,লোকলজ্জা ভুলেনিয়েছি আপন মনে জড়িয়ে দুহাত তুলে,তবে সে পাওয়া ছিল আমার নিষ্ফল,সেই ছোঁয়ায় দিয়েছো বুঝি মোরে ফাকিতাই তো ছল ছল করে মোর দুটি আঁখি,শৈশবের ছলা-কলায়, ভুলেছিলাম তারুণ্যমাপকাঠির পাল্লায় তোমারে তুলিনি,তবে সে লজ্জাশীলতা আজও  ভুলিনি,আজ আমি সেই আমি নই!আজ আমার অঙ্গের শাখা পরিপূর্ণ।কেন ভেজালে আমায়? তোমার ছোঁয়ায় দেহের ভেতর লুকিয়ে থাকা-যৌবনের বাকগুলো এক্ষণে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে,ভুলে গেছে সে লোক লজ্জা,বাধা-বিপত্তি ভুলে সে এখন নতুন সাজে,নতুন পথে,বন্য হরিনীর মত দিগ্বিদিক ছুটতে চায়,মনে হয় যেন কোন বাধ ভাঙ্গা নদীর উচ্ছ্বাস,কেমনে লুকাবো তারে, কেমনে রুখবো আমি তারে। এমন কী করেছি? বিচলিত হও কেন রমণীআমি যে একা এক্ষণে শুধুই তোমারি,কোন একদিন এ বাঁধ তো ভাঙ্গবেই,সে হোক না আমারই ছোঁয়ায়,ও যে চিরন্তন এক অগ্নিশিখা,সময়ের হাত ধরে তাকে চলতে দাও;বাধা নয়। পটুয়াখালী থেকে।রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/তাপস রায়