জাতীয়

এক রাতে কবিতার বেশ্যালয়ে

                     

|| কাজী জহিরুল ইসলাম ||

 

একটি মেয়ের হাতে পেইন্ট-ব্রাশ, আঁকছে ভার্জিনিটি, ছোপ ছোপ রক্তের সৃজনশীল রেখা। কালো পেন্টির ওপর ধবধবে ফর্সা পেট, এলানো পেঁপের মতো ঝুলে আছে দুটি অর্ধ-উন্নত পেলব স্তন, একটি অযত্নে ঢাকা কালো নেটে, অন্যটি উদোম, স্তনের বোঁটায় কালো বৃত্ত আঁকছে রাতের শিল্পী। গলায় ফাঁসির রজ্জু পরে আছে এক পুরুষ, খেয়ালী কবি, এক পা তরঙ্গময় পিয়ানোর রিডে। ডান্স ফ্লোরে ত্রিশ ছোঁয়া নারী, নগ্ন, সারা গায়ে অক্ষরের অনবদ্য শিল্পকর্ম, পৃথিবীর সকল সলাজ কবিতারা এসে মিশেছে এখানে, এক্সেন্ট বেঞ্চের লাল কভারের ওপর মেয়েটি, মানে কবিতাটি, চিৎ হয়ে শুয়ে পড়তেই ওকে ক্রমাগত পাঠ করে একদল হলুদ চঞ্চুর পাখি, তখন ঘোরের অন্ধকার থেকে উঠে আসে ব্রোথেলের পবিত্র মালিক। ওর হাতে তুলে দেয় একটি কাঠের গ্লোব, যার উত্তল গা থেকে গড়িয়ে পড়ছে তাজা রক্ত। মেয়েটি তখন মৃদু ইশারায় ছুঁড়ে দেয় গোলাকার বস্তুটিকে ফায়ার প্লেসের গনগনে আগুনের ভেতর।  ম্যনহাটন, নিউইয়র্ক।রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/তাপস রায়