জাতীয়

‘এটি ঐতিহাসিক ঘটনা যা পৃথিবীকে নতুন রূপ দেবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হবে বিশ্বের প্রতিটি পরিবারের দৈনন্দিন জীবন পরিচালনায় এসডিজিকে (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য) একটি গৃহস্থালী শব্দে পরিণত করা। ড. ইউনূস ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য) সফলভাবে গৃহীত হবার জন্য মহাসচিব ও তাঁর সহকর্মীদের অভিনন্দন জানান। এ সময় নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশকালে এমডিজি এডভোকেসী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এই সদস্য এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা যা ভবিষ্যত পৃথিবীকে একটি নতুন রূপ দেবে।ড. ইউনূস এ সময় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ‘২০৩০ এজেন্ডা’ সফলভাবে বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য মহাসচিব ও  জাতিসংঘকে অনুরোধ করেন। এমডিজি’র অন্যান্য সমর্থকরা আলোচনায় নতুন মাত্রা নিয়ে আসেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব এমডিজি প্রণয়নে ও এর লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়ন করতে বিশ্বের সব দেশের সমর্থন আদায়ে তাকে সহায়তা করার জন্য এমডিজি’র সমর্থকদেরও ধন্যবাদ জানান।জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন গত ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এমডিজি সমর্থকদের একটি সেশনে সভাপতিত্ব করেন। জাতিসংঘের গৃহীত এমডিজি বিশ্বব্যাপী এগিয়ে নিতে এবং এসডিজি প্রণয়নে সমর্থকরা উপদেষ্টা হিসেবে তাকে সহায়তা করেন। সেশনে মহাসচিবকে সহায়তা করেন সহ-সভাপতি রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে ও অপর সহ-সভাপতি নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গ।এমডিজি সমর্থকরা জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত টেকসই উন্নয়ন সম্মেলন ২০১৫-এর সমাপনী সভায় অংশগ্রহণ করেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গ, জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত রেমন্ড জি. চেম্বার্স, অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ জেফ্রি স্যাক্স, প্রাক্তন কোরিয়ান কুটনীতিক ও রাষ্ট্রদূত ডো ইয়াং-শিম, ফ্রান্সের প্রাক্তন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফিলিপ দাসত্-ব্লাযি, নারী ও শিশু অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রবক্তা গ্রাসা মিশেল এবং মার্কিন মিডিয়া মুঘল ও জনহিতৈষী টেড টার্নার।

     

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫/হাসান/নওশের