জাতীয়

পাটজাত মোড়ক ব্যবহারে সোমবার থেকে অভিযান

সচিবালয় প্রতিবেদক : পরিবেশদূষণ রোধে নির্ধারিত ছয়টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান। ঢাকার প্রবেশমুখে এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চালানো হবে এই অভিযান।

 

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম রোববার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

 

নির্ধারিত পণ্যগুলো হচ্ছে- ধান, চাল, ডাল, গম, চিনি ও সার। এসব পণ্য বাজারজাতের সময় এখন থেকে আর প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করতে পারবেন না কেউ।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভিযানের মাধ্যমে পাটের ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ দূষণরোধ এবং ক্রমান্বয়ে প্লাস্টিক মোড়ক উঠিয়ে দেওয়া হবে।

 

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে প্রচার চালানো হয়েছে। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার’ আইন অমান্য করলে বিধান অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনূর্ধ্ব এক বছরের কারাদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। শুধু তাই নয়, এ ধরনের অপরাধ একাধিকবার সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।’

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইন অমান্যকারী ব্যবসায়ীকে শুধু শাস্তি দেওয়া হবে না বরং তার ব্যাংক ঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আইআরসি বা ইআরসি বাতিল করা হবে। এ ধরনের বিধান রেখে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ বাস্তবায়ন করতে অভিযান চালানো হবে।

 

ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভিযান পরিচালনায় মন্ত্রণালয়ের দশটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। সড়ক, মহাসড়ক, চাল উৎপাদন এলাকাসহ ঢাকার প্রবেশমুখ ও দেশের জেলা পর্যায়ে প্রশাসনের অধীনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হবে।

 

তিনি জানান, অভিযানে স্বরাষ্ট্র, পরিবেশ ও বন, নৌ পরিবহন, সড়ক পরিবহণ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পাট অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিইউটিএ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা এতে যৌথভাবে সহায়তা করবে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আজম বলেন, আইন বাস্তবায়ন ও পাটের মোড়ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আগামী দুই মাসে যে পরিমাণ পাটের বস্তার প্রয়োজন হবে তা ইতিমধ্যে মজুদ করা হয়েছে।  পাশাপাশি প্রতিদিন আমাদের পাটের মোড়ক উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। তা ছাড়া বেসরকারিভাবে পাটের উৎপাদন চলছে।

 

সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও বিজেএমসির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হোসেন খালেদ উপস্থিত ছিলেন।

     

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ নভেম্বর ২০১৫/নঈমুদ্দীন/ইভা