জাতীয়

‘পদ্মা সেতু নির্মাণ বিশ্বব্যাংকের জন্য চপেটাঘাত’

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বিশ্বব্যাংকের জন্য চপেটাঘাত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই নির্মাণ প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার ‘ভুল’ স্বীকার করে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়ার জন্যও বিশ্ব ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিশ্ব ব্যাংকের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কথা বলে তারা অর্থায়ন করেনি। এখন আমরা নিজস্ব অর্থায়নেই এই নির্মাণকাজ শুরু করেছি।’‘আমরা দেশবাসী ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের’ আয়োজনে ‘সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটা বিশ্ব ব্যাংকের জন্য চপেটাঘাত, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। তোমরা টাকা দাওনি, আমরা নিজেদের টাকায় শুরু করে দিয়েছি।’ ২৯১ বিলিয়ন ডলারে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ছিল বিশ্ব ব্যাংকের। তবে প্রকল্পে ‘দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ তুলে তারা মাঝপথে নিজেদের সরিয়ে নেয়।  এখন বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ হচ্ছে। ২০১৮ সাল নাগাদ এ সেতুতে যান চলাচলের আশা করছে সরকার। আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় বিশ্ব ব্যাংক লজ্জা পেয়েছে। লজ্জা পেয়েছেন তারাও, যারা বিশ্ব ব্যাংককে অর্থায়ন না করতে প্ররোচিত করেছিল।’বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা এখন বিশ্ব ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মুখ দিয়ে আসার কথাও বলেন তিনি।   ‘যেই বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করেনি, তাদেরই প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি উড়াল দেওয়ার পূর্বক্ষণে আছে’। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশের উদীয়মান অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছি।’স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারও এখন এই অগ্রগতি দেখে ‘লজ্জা’ পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দেশবাসীকে সজাগ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, ‘একদিকে বিএনপি বলছে, সাকা-মুজাহিদের রায় কার্যকরের পর পাকিস্তানের বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি। আবার তারাই সাকা চৌধুরীর বিচারের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছে। এর মাধ্যমে তাদের অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গেছে।’আমরা দেশবাসী সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক বলরাম পোদ্দার।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ ডিসেম্বর ২০১৫/ইয়ামিন/নওশের