জাতীয়

জাতীয় সমাজসেবা দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশজুড়ে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত হচ্ছে আজ। দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক ক্ষমতায়নে সমাজসেবা অধিদফতর সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ, সামাজিক সুরক্ষাভাতা ও উপবৃত্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির আবাসন ও ভরণপোষণসহ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন, শিশু সুরক্ষা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নে ৫০টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

 

দিবসটি পালন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, দুস্থদের মাঝে ঋণ বিতরণ এবং শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

 

দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আরও নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেওয়া বাণীতে বলেন, ‘দেশের দুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আরো নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে।’

 

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে, তখনই দেশের দুস্থ, দরিদ্র, অসহায় শিশু, প্রতিবন্ধী, কিশোর-কিশোরী, স্বামী নিগৃহিতা মহিলা ও প্রবীণ ব্যক্তিবর্গসহ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি প্রবর্তনের মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অসহায় মানুষের উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি শিশু আইন, ১৯৭৪ প্রণয়নসহ শিশুদের উন্নয়নে কেয়ার এন্ড প্রটেকশন সেন্টার (বর্তমানে সরকারি শিশু পরিবার) প্রতিষ্ঠা করেন।’

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কল্যাণ ধারণার পরিবর্তে অধিকার সুরক্ষাকেন্দ্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন ২০১১, শিশু আইন ২০১৩, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়েছে।’

 

তিনি বলেন, ‘বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সকল খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি সমন্বয় ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ন্যাশনাল সোসাল সিকিউরিটি স্টাডিজ (এনএসএসএস) প্রণয়ন করা হয়েছে। দারিদ্র্যনিরসন ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তির উপযোগী চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানে লক্ষ্যভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

 

সরকার দেশব্যাপী ‘প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচি’ পরিচালনা করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের তথ্য সংরক্ষণ এবং সংরক্ষিত তথ্যের আলোকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ডিসটেবিলিটি ইনফরমেশন সিস্টেম সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র প্রদান করা হচ্ছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যথা হিজড়া, বেদে ও দলিত সম্প্রদায়ের উন্নয়নে সরকার প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। একই সঙ্গে শহর সমাজসেবা কার্যক্রম, হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম ও মাতৃকেন্দ্রসমূহ বিভিন্ন ধরণের সেবা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

       

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২জানুয়ারি ২০১৬/টিপু