জাতীয়

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০১৯ সালে

নিজস্ব প্রতিবেদক : হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত প্রায় ২০কিলোমিটার  দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ ২০১৯ সালে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 

বুধবার রাজধানীর কুড়িল এলাকায় ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে একথা বলেন তিনি।

 

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পাইলিংয়ের কাজ ১০ ভাগ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮১০টি পাইলের মধ্যে ৮৪টির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।

 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ তিন ধাপে সম্পন্ন হবে। ১ম ধাপে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী রেল স্টেশন পর্যন্ত, ২য় ধাপে বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত এবং ৩য় ধাপে মগবাজার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। তিনি বলেন, র‌্যাম্পসহ এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ কিলোমিটার।

 

সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দর হতে কমলাপুর পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হবে রেললাইনের পাশ দিয়ে। তাই নির্মাণকালে জনভোগান্তি কিংবা যানজটের কোন আশঙ্কা নেই।

 

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। উত্তরায় প্রকল্পের অর্থায়নে ১২০০ ফ্ল্যাট নির্মাণ করে ক্ষতিগ্রস্ততের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হবে। পুনর্বাসন এলাকায় বিস্তারিত নকশা তৈরির কাজ এগিয়ে চলেছে।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, ফুটপাত পথচারীদের ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অবৈধভাবে চালিত ছোট আকারের যানবাহনগুলো নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মহানগরীর যানজট অনেকাংশে কমে আসবে।

 

পরে মন্ত্রী কুড়িল এলাকায় সিএনজি অটোরিকশার মিটারে চলাচল নিশ্চিতকরণ এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে বিআরটিএর মোবাইল কোর্টের চলমান কার্যক্রম ও সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

 

এ সময় সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্র্রধান প্রকৌশলী কবির আহম্মদ, এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফেরদৌস, বিআরটিএর পরিচালক বিজয় ভূষণ পালসহ সেতু বিভাগ এবং এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/আরিফ সাওন/সাইফ