জাতীয়

‘জনগণ ও স্থানীয় সরকারের মধ্যে দীর্ঘ দূরত্ব’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইউনিয়ন পরিষদ গ্রামীণ জনগণের সবচেয়ে কাছের নীতি নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এ বিশাল কর্ম পরিসর সামলে বাংলাদেশকে যারা নিরন্তর গড়ে তুলছেন, তারা অনেকেই স্বীকৃতিহীন। জনগণ ও স্থানীয় সরকারের ভেতর তৈরি হয়ে আছে দীর্ঘ দূরত্ব। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, মানবিকতা  এবং  অধিকার সচেতনার প্রশ্নে বারবার ইউনিয়ন পরিষদকে সামাল দিতে হচ্ছে।বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে ‘স্থানীয় সরকার, গণমাধ্যম ও কার্যকর অংশগ্রহণ’ শীর্ষক এক গণমাধ্যম সংলাপে এসব তিক্ত অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন জনপ্রতিনিধিরা। সংলাপে রাজশাহী, নওগাঁ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও চট্টগ্রামের কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও নারী প্রতিনিধিরা এ অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন।জনপ্রতিনিধিরা বলেন, জনগণ ও স্থানীয় সরকারের ভেতর দূরত্ব কমিয়ে সকল পক্ষের ভেতর একটা জোরদার সমন্বয় তৈরির চেষ্টা চলছে। স্থানীয় জনগণ বিশেষত গ্রামীণ নারীরা এগিয়ে এসেছেন, পাশাপাশি যুব তরুণরাও।জনপ্রতিনিধিরা আরো বলেন, তারা জানতেন না নারীরা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে পারেন। তা তারা বারসিকের সচেতনতামূলক প্রোগামের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। আগামী নির্বাচনে নারী সদস্যদের ক্ষেত্রে যাতে দলীকরণের বিষয়টি না আসে সেই দাবিও জানান তারা।ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সিডার আর্থিক সহযোগিতায় এবং ডিয়াকোনিয়ার নেতৃত্বে বেসরকারি উন্নয়ন গবেঘণা প্রতিষ্ঠান বারসিক স্থানীয় সরকার ও কার্যকর অংশগ্রহণ বিষয়ক এক উন্নয়ন উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ডিয়াকোনিয়া বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার খোদেজা সুলতানা, বারসিকের নির্বাহী পরিচালক সুকান্ত সেন। আলোচকদের মধ্যে ছিলেন ব্রতী প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শান্তনু মজুমদার ও জেন্ডার বিশেষজ্ঞ কাজী সুফিয়া আখতার। প্রকল্পের কর্মসূচি ও প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক জাভেদ হাসান।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/আরিফ সাওন/সাইফুল