জাতীয়

ফাগুন এল গুনগুনিয়ে

মৃন্ময়ী হাসান : দখিনা হাওয়া, ঝরা পাতার শুকনো নূপুরের নিক্কন, প্রকৃতির মিলন এ বসন্তেই। বসন্ত মানেই পূর্ণতা। বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। বসন্ত মানেই একে অপরের হাত ধরে হাঁটা।

 

এ ঋতু বাসন্তী রঙে সাজায় মনকে, মানুষকে করে আনমনা। শীতের জীর্ণতা সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজে ওঠে প্রকৃতি। গাছে গাছে নতুন পাতা, স্নিগ্ধ সবুজ কচি পাতার ধীরগতিতে বাতাসের সঙ্গে বয়ে চলা জানান দেয় নতুন কিছুর।

 

শীতে খোলসে ঢুকে থাকা বনবনানী অলৌকিক স্পর্শে জেগে ওঠে। পলাশ, শিমুল গাছে লাগে আগুন রঙের খেলা। প্রকৃতিতে চলে মধুর বসন্তে সাজ সাজ রব। আর এ সাজে মন রাঙিয়ে গুন গুন করে অনেকেই গেয়ে উঠবেন- ‘মনেতে ফাগুন এলো..’।

 

কিংবা ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত...। কিংবা আহা আজি এ বসন্তে কত ফুল ফোটে কত বাঁশি বাজে কত পাখি গায়..। কিংবা এতটুকু ছোঁয়া লাগে, এতটুকু কথা শুনি, তাই দিয়ে মনে মনে রচি মম ফাল্গুনী..। কিংবা ফুলের বনে যার পাশে যাই তারেই লাগে ভালো..। কিংবা আমাদের প্রিয় বাউল শাহ আবদুল করিমের ‘বসন্ত বাতাসে..সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে...।’ এসব অমর পঙ্‌ক্তিমালা আমাদের দেহে-মনে-বোধে-মননে তরঙ্গায়িত হবে বারবার।

আমাদের প্রকৃতিতে ও মনে বসন্তের আগমন অনিবার্য হয়ে ওঠে। শীতের শুষ্কতায় ম্লান প্রকৃতিকে সজীব করে তুলতে, মানুষের মনে সজীবতা দিতে বসন্তের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, মধুর বসন্ত এসেছে, মধুর মিলন ঘটাতে। প্রকৃতির সৌন্দর্য ও সজীবতার সঙ্গে নতুন দিনের প্রত্যাশায় আসে বসন্ত।

 

আর তাই সকাল শুরু হওয়া মাত্রই নানা অনুষ্ঠান, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় সকলে বরণ করবে বসন্তকে। সারা দেশে কি গ্রামে কি শহরে বসন্তকে বরণ করে নেবে। মানুষের ইচ্ছা এবারের বসন্ত আমাদের জীবনে সত্যিকার হয়ে আসুক। অর্থবহ হয়ে উঠুক পলাশ-শিমুলের রঙ, কোকিলের কুহুতান। 

   বিশেষ ভিডিও

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ফিরোজ/ এএন