জাতীয়

মাথায় ফুল গালে আলপনা

আরিফ সাওন : বছর ঘুরে আবারো এসেছে পয়লা বৈশাখ। সবারই ইচ্ছে থাকে এই দিনটিতে নিজেকে ভিন্ন ভাবে বা সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে। এ দিন পছন্দের পোশাকে পছন্দের সাজে সেজে প্রিয়জনের সাথে ঘুরে বেড়ায় মানুষ। দিনটিতে কৃত্রিম অলংকারে নিজেকে না সাজিয়ে খাটি বাঙালি সাজে সাজানোর চিন্তাও থাকে। পোশাকেও থাকে লাল সাদার একটা বিশেষত্ব। মাথায় বাধা হয় ফুলের ব্যান্ড। তবে এখন আর ফুল দিয়ে চুল সাজাতে দুঃচিন্তা নেই। রাস্তার পাশেই ফুলের ব্যান্ড নিয়ে বসেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।পয়লা বৈশাখে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে ফুলের অনেক দোকান। দোয়েল চত্ত্বরের পাশে কথা হয় এমনই এক ফুল বিক্রেতা মো. দুলালের সাথে। তিনি জানান, তিনি সবসময় ফুল বিক্রি করেন না। শুধু বিশেষ দিনেই শাহবাগ থেকে ফুল কিনে ব্যান্ড বানিয়ে ব্রিক্রি করেন। এবছর তার বিক্রি কম। লোকজন কম। একুশে ফ্রেবুয়ারি বিক্রি ভাল হয়েছিল।

 

একটি ফুলের ব্যান্ডে লাল গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রড ফুলসহ ছয় প্রকার ফুল ব্যবহার করা হচ্ছে। যা মাথায় পরার পর নারী আর প্রকৃতি মিলে এক হয়ে যাচ্ছে। অন্য রকম অপূর্ব সৌন্দর্য ফুটে উঠছে। এই দোকানের পাশে কিছুক্ষন দাড়িয়ে দেখা যায়, শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করাও ফুলের ব্যান্ড কিনছেন। দাম ৫০ থেকে একশ টাকা। তবে যার কাছ থেকে যা রেখে পারেন।

 

শিশুদের জন্য বিক্রি করছেন ৫০ টাকায় আর বড়দের জন্য বিক্রি করছেন একশ টাকায়। ফুলের ব্যান্ড মাথায় পরেই তারা সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলছেন, সেলফি তুলছেন।

 

যাত্রাবাড়ি থেকে আসা মাজাহারুল ইসলাম তার প্রথম শ্রেণিতে পড়া মেয়ে সাবরিনাকে ৫০ টাকায় একটি ফুলের ব্যান্ড কিনে মাথায় পরিয়ে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছবি তোলেন। সাবরিনা বলে, আজ তার খুব ভাল লাগছে। সাবরিনার গালে আঁকা রয়েছে নববর্ষের আলপনা। শুধু সাবরিনা নয়, বড়দেরও টোল পড়া গালে নববর্ষের আলপনা উঁকি দিয়ে যাচ্ছে। যা দেখে তার প্রিয়জনের মনে আনন্দে ভরে উঠছে।  

 

শারমিন সুলতানা কবিতা বলেন, ‘শুধু আমি নেই, সবাই চায় নিজেকে একটু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে। প্রিয়জনের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে কার না ভাল লাগে।’

 

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক বেশির ভাগ নারীর মাথার বং বেরংয়ের ফুলের ব্যান্ড আর গালে আঁকা আলপনা।  

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ এপ্রিল ২০১৬/আরিফ সাওন/শাহনেওয়াজ